গাইবান্ধায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়ছে প্রকৃতি। দিনের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করে তাপমাত্রা। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা জেলার জনজীবন।

গত মার্চ মাস থেকে এ জেলায় বৃষ্টি হয়েছে খুবই কম।
সপ্তাহখানেক ধরে তাপমাত্রা থাকছে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এই তাপমাত্রাতেও সমস্যা হতো না যদি স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতো। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ভূপৃষ্ঠে পুঞ্জীভূত তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে গরমের অনুভূতি।

ভ্যাপসা গরমে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট হয়ে উঠেছে অসহনীয়। যেমন রিকশাচালক, ভ্যান বা ঠেলাগাড়ি চালক তীব্র রোদ আর গরমের কারণে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে দেখা যায় কয়েকজন কিশোর গোসল করছে।
এসময় তারা জানান, বাইরে প্রচুর গরম তাই বন্ধুরা মিলে পুকুরে গোসল করছি।

গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আনসার আলী জানান, প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে অনেক ঘাম ঝড়ে। শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। তাই বেশি করে পানি খাওয়া উচিত। যারা শ্রমজীবী এবং খেটে খাওয়া মানুষ তারা যেন কাজের মাঝে বিশ্রাম নেন। টানা বেশি সময় যেন রোদে না থাকে। খুব বেশি খারাপ লাগলে খাবার স্যালাইন খাবে, দ্রুত গাছের ছায়া বা ঠাণ্ডা স্থানে চলে যাবে। যেহেতু গরমে শরীর খুব ঘামে তাই খাবার স্যালাইন এই সময় খুব উপকারী।