গাইবান্ধার ফূলছড়ীতে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশকে মারপিটের অভিযোগে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ফুলছড়ি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পুলিশের করা অভিযোগকে বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
এসআই মোবারক হোসেন জানান, গত রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে তার নেতৃত্বে ফুলছড়ি থানার একদল পুলিশ উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়রে শাপলা বাজারে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আফছার আলীর ছেলে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করতে যায়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে থানায় নিয়ে আসার জন্য নদীর ধারে চলে আসে। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুল মালেকের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয় ও মারপিট করে।
এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এমনকি পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ হ্যান্ডক্যাপ খুলে আসামিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বলেও জানান মোবারক। তিনি বলেন, ‘ঐ সময় আমরা কোনরকমে প্রাণ নিয়ে ওই এলাকা ছেড়ে আসি।’
যদিও পুলিশের দাবি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আফছার আলী বলেছেন, সাদা পোশাকে পুলিশ আসামি ধরতে আসায় স্থানীয় লোকজন অপহরণকারী ভেবে বাধা দিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা ফুলছড়ি থানার পুলিশ বলে জানায়। কিন্তু পুলিশ যে মামলায় আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল, সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। এ কারণে পুলিশ আব্দুল মালেককে ছেড়ে দিয়েছে। জোর করে আসামি ছিনিয়ে নেয়া হয়নি এবং কোন মরপিটের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই হয়রানি করতে গ্রামবাসীর নামে মামলা দায়ের করেছে।’
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাওছার আলী জানায়, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশকে মারপিটের অভিযোগে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা একটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন