গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তথ্য বাতায়নে নেই হালনাগাদ তথ্য

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় তথ্য বাতায়ন আছে। আছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল। সকল দপ্তরে আছে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রটোকল (ওয়াইফাই) সংযোগ। চলছে সরকারি খরচে। নেই কেবল তথ্য বাতায়নে হালনাগাদ তথ্য আপলোড। সে কারণে তথ্য বিভ্রান্তে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আগ্রহ কমছে তাঁদের জাতীয় তথ্য বাতায়ন ভিজিটে। বলছিলাম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় তথ্য বাতায়নের কথা।

গত ২-৩ দিনে উপজেলার দপ্তরগুলো দেখে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সুন্দরগঞ্জ থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহিল জামান। তিনি এখানে যোগদান করেন ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর। অথচ বাতায়নে তাঁর কোনো তথ্য নেই। বাতায়নে কর্মকর্তার তালিকায় অফিস প্রধান (পুলিশ পরিদর্শক) হিসেবে আছেন মনজুর রহমান। যিনি ২০১৩ সালের ২২ মার্চ এখান থেকে অন্যত্র চলে যান। এই দুই কর্মকর্তার মাঝখানে আরও পাঁচজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। যাদের কোনো তথ্যই নেই বাতায়নে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বুলবুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করলেও বাতায়নে দেখাচ্ছে জালাল উদ্দিনের নাম। যিনি অনেক আগেই চলে গেছেন অন্যত্র। এ অবস্থা কেবলমাত্র থানার তথ্য বাতায়নে না।

উপজেলার ২৮ দপ্তরের দু’একটা ছাড়া প্রায় সবগুলো তথ্য বাতায়নের চিত্র একই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাতায়নে নেই বর্তমান কর্মকর্তার কোনো তথ্য। ঝুলছে ডা. মো. আশরাফুজ্জামান সরকারের নাম। যিনি এখান থেকে অনেক আগেই চলে গেছেন অন্যত্র।

একই অবস্থা পরিবার পরিকল্পনা অফিসেরও। সেখানে কর্মকর্তা হিসাবে দেখা যাচ্ছে মো. ইউসুফ আলীর নাম। যিনি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চলে যান এখান থেকে।

একই অবস্থা সাব রেজিস্টার অফিসের। বর্তমান সাব রেজিস্টার রাফায়েল ফাতেমী। তার কোনো তথ্য নেই বাতায়নে। আছে রামজীবন কুন্ডের নাম। যিনি ২০১৯ সালের ৩ মে এখান থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। দু’জনের ফাঁকে এসেছিলেন আরেক কর্মকর্তা এসএম কামরুল হোসেন। তারও কোনো তথ্য আপলোড করা হয়নি সাব রেজিস্টার অফিসের নিজস্ব সাইটে।

তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত। এটি একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের (১) আওতায় জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণ ও সরকারি দপ্তর থেকে প্রদেয় সেবাসমূহ প্রাপ্তির নিশ্চয়তায় এ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সে কারণে দেশের সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ, অধিদপ্তর ও মন্ত্রাণয়সহ প্রায় পঁচিশ হাজার সরকারি দপ্তরের রয়েছে নিজস্ব ওয়েব পোর্টাল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জাতীয় তথ্য বাতায়নে নিয়মিত তথ্য আপলোড না করায় তথ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ এবং তথ্য বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদের প্রতিনিয়ত। ফলে বাতায়ন ভিজিটে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এখন অনেকে। আর এর জন্য সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

তাঁরা বলছেন, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতে বিপুল অর্থ ব্যয়ে তৈরি সুন্দরগঞ্জের জাতীয় তথ্য বাতায়নটি এখন নাম মাত্র। সরকারি দপ্তর থেকে প্রদেয় সেবাসমূহ প্রাপ্তির নিশ্চয়তায় তৈরি জাতীয় এ তথ্য বাতায়নে নিয়মিত তথ্য আপলোড করার জোর দাবীও তোলেন স্থানীয়রা।

গত শনিবার রাত সাড়ে নটার দিকে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-আল-মারুফের সাথে। তথ্য নিয়মিত আপলোড করতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ২৮ দপ্তরে আছে কি না জানি না। তবে বড় বড় দপ্তরগুলোতে আদালা আলাদা জাতীয় তথ্য বাতায়ন আছে। সেগুলো নিয়মিত আপলোড করতে বলাও হয়েছে তাঁদের। তারপরেও দেখা যাচ্ছে কেউ এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

তিনি আরও বলেন, বাতায়নে তথ্য আপলোড করাটা অফিসের নিয়মিত একটা কাজ। এরজন্য আলাদা লোকের প্রয়োজন হয় না। তবে কেউ প্রয়োজন মনে করলে সহকারী প্রোগ্রামার আছে তার সহযোগীতা নিতে পারেন। নিয়মিত তথ্য আপলোড নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

জাতীয় তথ্য বাতায়ন আছে। আছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল। সকল দপ্তরে আছে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রটোকল (ওয়াইফাই) সংযোগ। চলছে সরকারি খরচে। নেই কেবল তথ্য বাতায়নে হালনাগাদ তথ্য আপলোড। সে কারণে তথ্য বিভ্রান্তে পড়ছেন সাধারণ মানুষ । আগ্রহ কমছে তাঁদের জাতীয় তথ্য বাতায়ন ভিজিটে। বলছিলাম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় তথ্য বাতায়নের কথা। গত ২-৩ দিনে উপজেলার দপ্তরগুলো দেখে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সুন্দরগঞ্জ থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহিল জামান। তিনি এখানে যোগদান করেন ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর। অথচ বাতায়নে তাঁর কোনো তথ্য নেই। বাতায়নে কর্মকর্তার তালিকায় অফিস প্রধান (পুলিশ পরিদর্শক) হিসেবে আছেন মনজুর রহমান। যিনি ২০১৩ সালের ২২ মার্চ এখান থেকে অন্যত্র চলে যান। এই দুই কর্মকর্তার মাঝখানে আরও পাঁচজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। যাদের কোনো তথ্যই নেই বাতায়নে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বুলবুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করলেও বাতায়নে দেখাচ্ছে জালাল উদ্দিনের নাম। যিনি অনেক আগেই চলে গেছেন অন্যত্র।

এ অবস্থা কেবলমাত্র থানার তথ্য বাতায়নে না। উপজেলার ২৮ দপ্তরের দু’একটা ছাড়া প্রায় সবগুলো তথ্য বাতায়নের চিত্র একই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাতায়নে নেই বর্তমান কর্মকর্তার কোনো তথ্য। ঝুলছে ডা. মো. আশরাফুজ্জামান সরকারের নাম। যিনি এখান থেকে অনেক আগেই চলে গেছেন অন্যত্র। একই অবস্থা পরিবার পরিকল্পনা অফিসেরও। সেখানে কর্মকর্তা হিসাবে দেখা যাচ্ছে মো. ইউসুফ আলীর নাম। যিনি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চলে যান এখান থেকে।

একই অবস্থা সাব রেজিস্টার অফিসের। বর্তমান সাব রেজিস্টার রাফায়েল ফাতেমী। তার কোনো তথ্য নেই বাতায়নে। আছে রামজীবন কুন্ডের নাম। যিনি ২০১৯ সালের ৩ মে এখান থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। দু’জনের ফাঁকে এসেছিলেন আরেক কর্মকর্তা এসএম কামরুল হোসেন। তারও কোনো তথ্য আপলোড করা হয়নি সাব রেজিস্টার অফিসের নিজস্ব সাইটে।