গাজায় আহতদের উদ্ধারে মিশরের অ্যাম্বুলেন্স

ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলায় ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। আহতদের উদ্ধারে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছে মিশর। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ৫ম দিনে গাজার রাফাহ শহরে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছে মিশর। পরে আরও ৫টি পাঠানো হয়। এছাড়া, আহতদের চিকিৎসা দিতে মিশরীয় ৩টি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলা টানা ষষ্ঠ দিনেও অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (১৫ মে) শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮ শিশুসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিন, গাজা উপত্যকায় আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি কার্যালয় বিমান হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।

উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের আশকেলন ও আশদোদ শহরকে লক্ষ করে রকেট নিক্ষেপ করে সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (১০ মে) শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গাজায় এ পর্যন্ত ৩৯ শিশুসহ ১৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন ৯৫০ জন।

রক্তক্ষয়ী সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবিক সংকট বাড়ছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে উত্তর গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘ বলছে, ক্রমাগত ইসরায়েলি আক্রমণে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বাড়ি ছেড়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরকে সংযুক্ত করে। তবে তাদের এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কখনও স্বীকৃতি পায়নি।