‘গাজা’ নিয়ে ঢাবি ও বুয়েট ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৫

গাজা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে গিয়ে একপর্যায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের কর্মীরা। এতে বুয়েটের ৫ শিক্ষার্থী আহত হন। তারা হলেন- মহুরী, দিব্য, অনিক, সৌরভ ও সাদমান। তাদের মধ্যে সাদমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুয়েট ক্যাম্পাসে বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থীর গাজা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এই ঘটনার জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে সার্জেন্ট জহুরুল হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরানকে ধরে নিয়ে যায় বুয়েটের ছাত্রলীগের কর্মীরা। খবরটি জানাজানি হলে ুএত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে জহুরুল হক হলের উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা লাঠি, রামদা, হকিস্টিক নিয়ে ইমরানকে উদ্ধার করতে গিয়ে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এই সময় বুয়েটের ৫ শিক্ষার্থী আহত হন। একই সময় বুয়েটের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠি, রড নিয়ে পলাশী মোড়ের পাশে অবস্থান করে। এই অবস্থায় পলাশী মোড়ে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ পলাশীর মোড়ে অবস্থান নেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, ‘বৃহষ্পতিবারের ঘটনায় আমার হলের কেউ জড়িত ছিল না। আবাসিক এলাকার ছেলেরা জড়িত ছিল। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আজ (শুক্রবার) আমার হলের এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে এই সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার জন্য বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দায়ী।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি টীকাদার বলেন, ‘জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের হলে গিয়ে হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনায় আমাদের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন।’

থবর পেয়ে পরে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা দু’পক্ষকে নিয়ে বসব। যারাই দোষী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’

এছাড়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে ভিসিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয় বসব। যারা দোষী তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’