গাজীপুরে বড় ব্যবধানে এগিয়ে নৌকা

বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলেছে গণনা। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মেয়র পদে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

মোট ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫৪টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকে জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ২,৭৯,০৮৬ ভোট। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ১,২৯,১৮০ ভোট।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। শুরুতেই বিপুল সংখ্যক মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে নারী ভোটার ছিল বেশি।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির ধানের শীষ প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও আরও পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তারা হলেন- বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে), বাংলাদশে ইসলামী ফ্রন্টের অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা)। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি মার্কায় লড়ছেন ফরিদ আহমদ।

ব্যালট পেপার ছিনতাই, দুপুরের মধ্যেই ব্যালট শেষ হয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টকে দায়িত্ব পালন করতে না দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে দুপুরে নির্বাচন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দলটির প্রার্থী হাসান সরকার।

জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শতাধিক কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। অনেককে মারপিট করেছে সরকারি দলের লোকেরা। সেখানে সিল মারা ও জাল ভোট দেয়া হয়েছে।

তবে দুই কারণে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনের দলীয় প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, প্রার্থীর দুর্বলতা আর দলীয় কোন্দলের কারণে অনেক জায়গায় তাদের এজেন্ট উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিভিন্ন অনিয়মের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুপুরে জেলা রিটার্নি অফিসারের কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।