গোপালগঞ্জের ৫৮ ভিক্ষুক পাচ্ছেন চাকরি

গোপালগঞ্জে এক প্যাকেজিং কারখানায় চাকরি পেতে যাচ্ছেন ৫৮ জন ভিক্ষুক।

রোববার কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সরকারি অর্থায়নে কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে এ প্যাকেজিং কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

আগামী পহেলা জানুয়ারি থেকে এ কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে। আর সেদিন থেকেই এই ৫৮ জন ভিক্ষুকের ভিক্ষে ছেড়ে চাকরি জীবনও শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা ৬ ডিসেম্বর থেকে এ কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এ মাসেই ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের প্রথম দিনেই চৌরখুলী গ্রামের ৫৮ ভিক্ষুক চাকরিজীবী হিসেবে পরিচিত পাবেন। তাদের চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হবে ভিক্ষুক। চাকরিপ্রাপ্তীর সাথে সাথে তাদের ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে হবে।

তিনি জানান, কোটালীপাড়ায় প্যাকেজিং কারখানাতে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে সরকারি অর্থায়নে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

সবার সহযোগিতায় গত ২ ডিসেম্বর চৌরখুলী গ্রামে এ কারখানার জমি নির্বাচন করেন তারা।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, চৌরখুলী গ্রামের এই ৫৮ নারী-পুরুষ ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত। বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাদের এ পেশা থেকে সরিয়ে আনা যায়নি।

সরকারি অর্থায়নের এ প্যাকেজিং কারাখানায় ভিক্ষুকদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২ ডিসেম্বর চৌরখুলী গ্রামে মতবিনিময় সভা হয়। এলাকাবাসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।

“তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে সম্মতি দিয়েছে।”

প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেন তিনি।

কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ক্ষুদ্র উদ্যোগ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।

চৌরখুলী গ্রামের ভিক্ষুক রাবেয়া, আমিনা, সাহানা বলেন, তারা আর ভিক্ষা করতে চান না।

এতদিন কোনো ভাল কাজ পায়নি বলে ভিক্ষা করছেন। উপজেলা প্রশাসনের এ কারখানায় চাকরি করে সম্মানের সাথে বাঁচতে চান বলে জানান তারা।