গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় শোক দিবস পালন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, তিনি সবার। আর তিনি সবার বলেই তার চিন্তা-ভাবনাগুলো ১৬ কোটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তাই শুধু সভা-সেমিনার নয়, তার আদর্শ ধারণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে হবে।

রবিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ ও বাস্তবায়নই তার প্রতি সম্মান

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, গ্রিন বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, ১৫ আগস্ট হঠাৎ করে তৈরি হয়নি। কারা এই হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করল? সেই ইতিহাস আমাদের অনুসন্ধান করে জানতে হবে। এ সময় তিনি পঁচাত্তর পূর্ববর্তী বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের ভূমিকা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জাতির সামনে ইতিহাস তুলে ধরতেই হবে। সেটা যত নিষ্ঠুর ও নির্মমই হোক না কেন। কাদের ভুলে ও ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, সেই ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ছিল বাংলার মানুষের জন্য উৎসর্গিত। গবেষণায় দেখা যায়, জীবনের ৪০ শতাংশ সময় রাজনীতির ময়দানে আর ৪৪ শতাংশ সময় জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। অর্থ্যাৎ নিজ জীবনের ৮০ শতাংশের বেশি সময় তিনি দেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন; যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রায়ই বলতেন ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই’; বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে আমাদের নিজেদেরকেই সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর বিশেষ ১০টি গুণের কথা উল্লেখ করেন।

মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাত্র কয়েক বছরে বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা কোনো রাষ্ট্রের জন্যই সহজ বিষয় ছিল না। আজও তার আদর্শ ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।