ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশনে যাবেন মোদি-মমতা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সবচে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে ভারতের পূর্ব উপকূলে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলজুড়ে এখন ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতচিহ্ন। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলজুড়ে এক কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে পাঁচ জনের। দেড় শতাধিক বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানিবন্দি দিন কাটছে লাখ লাখ মানুষের। পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় ১১শ’ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন রয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে গেলেও এখনও উত্তাল ওড়িশার সমুদ্র। লাখ লাখ মানুষ, যাদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল তাদের অধিকাংশই এখনও ফিরতে পারেননি, পানিবন্দীও অনেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ওড়িশার বালাসোর, ভদ্রক, জগৎসিংহপুর ও কেন্দ্রাপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওই এলাকার এক নারী জানান, বাতাসের শব্দেই এখন ভয় লাগছে। উদ্ধারকারী দলের কোনো সদস্যই এখনও আমাদের এখানে আসেননি।

আরেকজন জানান, আজ আমার দাদির টিকা নেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এখানে কেউই নেই। ঘূর্ণিঝড় সব ওলটপালট করে দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর ও নন্দীগ্রামে ঝড়ের বেশি প্রভাব পড়েছে।

ইয়াসের বিপর্যয়ের পরে আরও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করতে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিনটি জাহাজ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে গেছে। প্লাবিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১১শ’ গ্রাম। এতে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ঝড়ের কারণে তিন লাখেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রায় ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যে ১০ কোটি ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেয়ার দাবি করেন তিনি।

শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরবর্তী দিক-নির্দেশনা দেবেন মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিবদর্শনে।