চট্টগ্রামের জনসভায় যা বললেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা

বেগম জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে জয় ছিনিয়ে আনতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের কাজীর দেউরিতে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত জনসভায় এ আহ্বান জানান তারা। বিরোধীদলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন বানচালের জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলেও মন্তব্য করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

চট্টগ্রামের কাজীর দেউরিতে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সাত দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট্রের ২য় জনসভায় যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকেই ভিড় করতে থাকেন নেতাকর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে সভায় যোগ দেন তারা।

বেলা ২টার পরপর জনসভায় যোগ দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ-নেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য নেতারা। জনসভা স্থলের জায়গা নির্ধারণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেন প্রায় সব নেতাই। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি দাবিও জানান তারা।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রাজপথে ভোটকেন্দ্রে ভোটের মাঠে ওদের সারাদেশে প্রতিহত করা হবে।’

ঐক্য প্রক্রিয়ায় সরকার ভীত দাবি করে ফ্রন্টের নেতারা বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারকে মানতে হবে বিরোধী দলের ৭দফা।

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই লড়াই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই, এই লড়াই সব রাজবন্দীর মুক্তির লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততে হবে। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আপনাদের পালাবার পথ নাই। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবেন না। আলোচনা না করে যদি তফসিল ঘোষণা করেন তাহলে যা হবে তার দায় দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।’

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্যে জনগণের ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে এই সাত দফা।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং এই সরকার ভয় পেয়েছে। এমন ভয় পেয়েছে যে কারণে সভাও করতে দিচ্ছে না। কোনোদিন কোনো স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি। এই সাত দফা দাবি আদায় করে তবেই আমরা ঘরে ফিরবো।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দাবি করে বলেন, ‘বিরোধী দলের দাবি আদায় না হলে জনগণের কাছেই তার জবাবদিহি করতে হবে।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সাত দফা দাবি সময় থাকতে মেনে নিন। এই দাবিকে উপেক্ষা করলে অমান্য করলে যে শাস্তি আপনারা পাবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়ার ব্যাপার নয়, এটা হওয়ার ব্যাপার। আর কত চাওয়া হবে।’

সব ধরণের সংকট মোকাবেলায় আলোচনা পথ রুদ্ধ না করতে সরকারের প্রতিও আহবান জানান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।