চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় সন্ত্রাসী আমজাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, থানায় স্থানীয় যুবকের অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় সন্ত্রাসী আমজাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ১৭ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী, চকবাজার থানায় স্থানীয় যুবকের অভিযোগ।

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এ বাকলিয়ার বেশ কিছু এলাকাজুড়ে আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত আমজাদ ও তার বাহিনী। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বা ডান হাত হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসীর নাম সোহেল আহমেদ সেলু প্রকাশ সেল্ল্যা চোরা।

সে আমজাদ এর হাতে গঠিত বাহিনী নিয়ে চট্টগ্রাম বগার বিল শান্তিনগর নিরাপদ হাউজিং-১ ও নিরাপদ হাউজিং-২, ডি.সি.রোড এলাকায় সব ধরনের অসামাজিক কর্মে লিপ্ত হয় ও আমজাদের নির্দেশে সমস্ত অপকর্ম পরিচালনা করে থাকেন বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠে আসে।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, ভূমি দস্যুতা, অস্ত্র সহ অবৈধ মহড়া, ভিডিও ব্ল্যাকমেইলিং সহ একের পর এক অপকর্মের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন আমজাদ ও তার বাহিনী।(যার একাধিক সি.সি. ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।) ইতিপূর্বে নির্বাচনের সময় স্থানীয় একজন সাংবাদিকের বাসায় আক্রমণ চালায় সরাসরি আমজাদ ও তার বাহিনী।

জানা যায় আমজাদের বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় আমজাদের রোষানলের শিকার হন সুমন সেন নামক ঐ স্থানীয় সাংবাদিক। ফলে সরাসরি আমজাদ ও তার বাহিনী চট্টগ্রাম ডি.সি.রোড ভরাপুকুর পার এলাকায় রাতে ঐ সাংবাদিকের বাসায় তার দলবল নিয়ে আক্রমণ চালায় এবং দরজায় লাথি মারে।

এই আক্রমেণের ভিডিও ফুটেজ সি.সি. ক্যামেরার মাধ্যমে ধরা পড়ে যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রশাসন এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ উঠে আসে স্থানীয়ভাবে।

বর্তমানে লকডাউন চলাকালেও তার হাত হতে রক্ষা পাচ্ছে না স্থানীয় সাধারণ মানুষ। আবু ফরহাদ মোঃ শোয়াইব (৩২) এজমা রোগী বলে জানা যায়। সে মধ্য রাতে ঔষধের জন্য বাসা হতে বের হয়ে দোকানের উদ্দেশ্যে গেলে শান্তি নগর এলাকায় পেরেক ফ্যাক্টরী নামক স্থানে আমজাদের আড্ডাস্থলে তাকে নিয়ে মারধর করে। মারধরের এক পর্য়ায়ে তার চোখ ও কানে মারাত্নক যখম হয়। বর্তমানে চোখের অবস্থা ভাল নয় এবং তার শ্রবণ শক্তির সমস্যা হচ্ছে বলে ভূক্তভোগী ছেলেটি অভিযোগ করে বলেন এই প্রতিবেদককে।এছাড়াও ছেলেটির কাছ থেকে জোরপূর্বক মোবাইলে ভিডিও করে স্বীকারোক্তি আদায় করেন ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে যা অভিযোগে ভূক্তভোগী জানায়।

এ বিষয়ে বিগত ১৮ এপ্রিল ২০২১ ইংরেজী চট্টগ্রাম চকবাজার থানায় ভূক্তভোগী আবু ফরহাদ মোঃ শোয়াইব আমজাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে বিষয়টি অভিযোগ আকারে গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী ফরহাদ।

এ ব্যাপারে চকবাজার থানায় মামলার তদন্তকারী অফিসার জহির মোল্লার সাথে বিষয়টি জানার জন্য ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

এছাড়াও সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে গেলে দেখা যায় স্থানীয় দোকানদার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রায় সকলেই আমজাদ ও তার বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, অন্যরা কিছু গরিত নো পারিবেন। ইতারার লাই র‌্যাব লাগিবু। আর কেউ ঠান্ডা গরিত ন পারিবু”।অন্যজন পথচারি পেশায় শিক্ষক বলে পরিচয় দিয়ে এই প্রতিবেদককে বলেন “যেখানে বঙ্গকন্যা, বাঙ্গালীর আলোর দিশারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস মাদক এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স। যা পুরো বাংলাদেশ সহ বর্হিবিশ্বে অবগত আছেন।সেখানে সন্ত্রাসীরা কাদের সহযোগীতায় তাদের অপকর্ম চালায় বা কারা এসবের পিছনে মদদ দেন তা আপনারা তদন্ত করুন উঠে আসবে নিশ্চয়ই সত্যটা।

স্থানীয় যুবলীগের একজন নেতা বলেন “আমরা এও জানি পুলিশ মহা পরিদর্শক সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে অনেকবার বক্তব্য রেখেছেন সন্ত্রাস মাদক এগুলো কোন দলীয় বিবেচনায় ছাড় দেয়া হবে না। তিনি নিজেও এসব ব্যাপারে জিরো টলারেন্স এবং এসব বিষয়ে দায়িত্বশীলদের যথাযথ নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন”। আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানাতে চাই কোন অদৃশ্য শক্তির কালো ইশারায় বার বার এরা বিভিন্ন অপকর্মের পরেও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায়। স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহে বেশ কিছু প্রমাণাদি ও ভিডিও ফুটেজ হাতে চলে আসে এই প্রতিবেদকের। ভূক্তভোগী আবু ফরহাদ গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তার নিরাপত্তা চেয়েছেন।

তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন যে কোন সময় তার উপর আবারও আক্রমণ হতে পারে। বর্তমাণে তিনি আমজাদ ও তার বাহিনীর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান।