চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (২৫) কে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও তার অনুসারিদের বিরুদ্ধে।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাতকানিয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। বর্তমানে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

২৪ আগষ্ট (বুধবার) সাড়ে ১১টায় উপজেলার কেরানীহাট কেঁওচিয়া হাজেরা মেম্বারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (২৫) কেরানীহাট কেঁওচিয়া গ্রামের মোহাম্মদ দুলালের ছেলে।

আহত রিয়াজের বড় ভাই মোঃ রিয়াদ বলেন, সকালে মোহাম্মদ আলীর এক ভাগিনার সাথে আমার ভাইয়ের মধ্যে সামান্য তর্কবির্তক হয়। এর জের ধরে কয়েক ঘন্টা পর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, তার অনুসারি জমির, মিজান, মিশকাত ও জয়নালসহ আরো কয়েকজন এসে আমার ভাইকে ধরে বেদড়ক পিটুনী ও চাইনিজ কুরাল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে আমরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘সাতকানিয়া থেকে রিয়াজ উদ্দিন নামে একজনকে আহত অবস্থায় দুপুরে চমেকে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় কুপানো হয়েছে। পিঠেও আঘাত রয়েছে। বর্তমানে মেডিক্যালের ২৮ ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর বেডে তিনি রয়েছেন।’

আহত পরিবার ও মোঃ রিয়াদ অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজ করে আসছিল। আমার ভাই এর প্রতিবাদ করায় সভাপতির নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে চমেক জরুরী বিভাগে আমার ভাইয়ের মাথায় ১৫ সেলাই দেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর কাছে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে রিয়াজের উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। সাধারণ নেতাকর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। কেননা এর আগেও সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও তার অনুসারিরা এক স্কুল ছাত্রকে মেরে মাথা ও চোখ ফাটিয়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, এধরনের কোন অভিযোগ এখনো আসেনি। তারপরেও আমরা খোঁজ নিচ্ছি। আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।