চট্টগ্রামে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড : ১৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে আগুন

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ১৩ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।
এদিকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সেখানে সেনাবাহিনীর ১০০ থেকে ১৫০ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে এ ঘটনায় ১৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা ৪০০ ছুঁয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তার জন্য সেখানে সেনাবাহিনীর ১০০-১৫০ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালসহ সব হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক-নার্সকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এতসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত নেই। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, স্যালাইন, পেইন কিলার নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করছি সবাইকে। সেই সঙ্গে আশপাশের উপজেলা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে। তবু চিকিৎসা দিয়ে পেরে উঠছি না আমরা।

চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, দগ্ধদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। এ জন্য রক্ত চেয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। আশপাশের সবাইকে হাসপাতালে এসে রক্ত দিয়ে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।