চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বাতিল

ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ থাকবে।

শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। উড়োজাহাজ ওঠানামার সময় ব্যবহৃত ফায়ারের গাড়িসহ ভারী সরঞ্জামাদি শহরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরের বাইরেই এসব সরঞ্জামাদি থাকবে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মহন্ত বলেন, বিমানবন্দরের নিচতলায় স্থাপিত স্কেনিং মেশিনসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দুই তলায় তুলে নেয়া হয়েছে। ফায়ারের গাড়ি ডিসি অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হালকা ও ভারী সব সরঞ্জামাদি শহরের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৬টায় থেকে এয়ারলাইন্সগুলোর অবতরণের কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোরা’র কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ‘সাত’ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ‘১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত’ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মংলা বন্দরকে ‘৫’ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ‘৮’ নম্বর পুনঃ ‘৮’ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।