চট্টগ্রাম-১৫, নৌকায় হ্যাট্টিক নাকি নতুন মুখ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম-১৫ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর প্রশ্ন কার হাতে নৌকার বৈঠা?

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) শেষ হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) দলীয় বৈঠকে চূড়ান্ত হবে নৌকার মনোনয়ন।গুরুত্বপূর্ণ আসন চট্টগ্রাম-১৫ তে নৌকার মনোনয়ন কে পাচ্ছেন এমন রহস্যে ঘুরপাক খাচ্ছে জনসাধারণের।ঘুম নেই নেতাকর্মীদের চোখে।তবে এবার আসনটিতে ১৫ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও আলোচনায় হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে মাত্র কয়েকজন।তারা হলেন – সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী,আমিনুল ইসলাম আমিন,মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী,এম এ মোতালেব সিআইপি।

তাদের প্রত্যেকের আসনটিতে রয়েছে নিজস্ব কর্মী,জনবল,দখল ও দলীয় শক্ত অবস্থান।প্রত্যেকের অনুসারীদের বিশ্বাস তার পছন্দের নেতার হাতেই উঠবে বৈঠা।হাড্ডাহাড্ডি এ লড়াইয়ে এবার কার হাতে যাচ্ছে নৌকার মনোনয়ন এমন প্রশ্ন জনমুখে।আসনটিতে নৌকায় হ্যাট্টিক নাকি নতুন মুখ দেখার অপেক্ষায় জনসাধারণ।

মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী আওয়ামীলীগ থেকে পরপর দুইবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।সাংসদের সহধর্মিণী রিজিয়া রেজা চৌধুরীরও মহিলা রাজনীতিতে সক্রিয়।ফলে এবারও সাংসদ নদভীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত, জামাত সম্পৃক্ততার অভিযোগ ও পরপর দুইবার মনোনয়ন পাওয়ায় তৃতীয় বারেও তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে কিনা এমন সংশয় সম্ভাবনা রয়েছে জনমনে।

মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিনুল ইসলাম আমিনের অনুসারীদের মন্তব্য অনুযায়ী তিনি দলের ত্যাগী একজন নেতা।তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ নেতা উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়ে এখন দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।বিভিন্ন কর্মসূচিতেও সক্রিয় রয়েছেন তিনি।এ পর্যায়ে তার অনুসারীদের বিশ্বাস তৃণমূল বিবেচনায় এবার মনোনয়ন পেতে পারেন তিনি।তবে আসনটি জামাত-বিএনপিদের দূর্গে লোকশ্রুতি থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনায় না পাওয়ার সম্ভাবনাও ব্যক্ত করেন জনসাধারণ।

মনোনয়ন প্রত্যাশী মঈন উদ্দিন হাসান চৌধুরী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি।এছাড়াও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও সক্রিয় দেখা যায় তাকে।রাজনীতে থেকে তেমন একটা অসাধু কাজে জড়ানোর খবর নেই জনমুখে।ছাত্ররাজনীতি ও স্বচ্ছতা বিবেচনায় তিনি মনোনয়ন পেতে পারেন বলে বিশ্বাস জনসাধারণের।তবে এ আসনটিতে ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়েও ৬ হাজার ভোটে পরাজিত হওয়ায় পুনরায় মনোনয়ন পাবেন কিনা এমন সংশয় অনেকের।

এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এম এ মোতালেব সিআইপি আসনটির সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।এছাড়াও বনফুল ও কিষোয়ান গ্রুপের কর্ণধার হওয়ায় খ্যাতি রয়েছে তার।তার অনুসারীদের বিশ্বাস ত্যাগ ও যোগ্যতা বিবেচনায় এবার মনোনয়ন পাবেন তিনি।তবে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনিও বিতর্কিত হওয়ায় মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

তবে কল্পনা সম্ভাবনার অবসান ঘটে ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জানা যাবে কে পাচ্ছেন নৌকার বৈঠা।