চলে গেলেন সুষমা, ৪৪ বছর পর একা হলেন কৌশল

তারা দুজনই ছিলেন ভালো বন্ধু এবং সহকর্মী। সেই সম্পর্কে আর এগোলো, হয়ে গেলেন ঘরনী। চুয়াল্লিশ বছরের সুদীর্ঘ সম্পর্কে ছেদ পড়ল। স্বামী-পরিজনদের রেখে অপারের পথে পাড়ি জমালেন সুষমা স্বরাজ। প্রিয়তমাকে হারিয়ে বড্ড একা হয়ে পড়েছেন স্বামী স্বরাজ কৌশল। একসঙ্গে কাটানো মুহূর্ত আজ শুধুই স্মৃতি। আর বুদ্ধিদীপ্তভাবে তার টুইটের জবাব দেবেন না, একথা ভেবেই নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন তিনি।

ছোট থেকে পড়াশোনার প্রতি আকর্ষণ ছিল সুষমার। সংস্কৃত এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক করেন তিনি। এরপর ভাবেন আইন নিয়ে পড়বেন। তিনি ভর্তি হন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই সহপাঠী হিসাবে পান স্বরাজ কৌশলকে। ভালো বন্ধু হয়ে যান দুজনে। একসঙ্গে পড়াশোনা করার সুবাদে বই-খাতা আদানপ্রদান লেগেই থাকত। কিন্তু বই-খাতা আদানপ্রদানেই আটকে থাকলেন না তারা। হয়ে গেলো মন দেওয়া-নেওয়া। কলেজ জীবন থেকেই একে অপরের সঙ্গে পথচলার অঙ্গীকার করে ফেলেন সুষমা-কৌশল। কিন্তু পরিবার মেনে নেয়নি তাদের সম্পর্ক। তবে যাই হোক না কেন, দু’জনে হাত ছেড়ে হাঁটার কথা ভুলেও ভাবেননি। তাই তো প্রায় পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই ১৯৭৫ সালের ১৩ জুলাই পরিণতি পায় সুষমার প্রেম। স্বরাজ কৌশলের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুষমা।

সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে কাজের চাপ৷ আইনজীবী থেকে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন সুষমা। হয়ে উঠেছেন প্রকৃত অর্থে জননেত্রী। কর্মসূত্রে বহু বছর ভিন শহরে দিন কাটিয়েছেন ব্যস্ত দম্পতি। তবে সম্পর্কের উষ্ণতা ছিল একইরকম। প্রতি মুহূর্তে নতুন করে নিজেদের আবিষ্কার করেছেন তারা। বারবার প্রেমে পড়েছেন একে অপরের। তাদের মিষ্টি মধুর সম্পর্কের সাক্ষী নেটিজেনরাও। দুজনের টুইটে মিলতো গভীর ভালবাসার প্রকাশ। বেশ কয়েক বছর আগে কিডনির সমস্যা দেখা দেয় সুষমার। তাই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেননি ভারতের সাবেক সরকারের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই ইস্যুতে টুইটে স্ত্রীকে পরামর্শ দেন স্বরাজ কৌশল। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার মনে পড়ছে মিলখা সিং একদিন দৌড় থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন