চাঁদপুরে দোকানে ঢুকে প্রকাশ্যে কর্মচারীর গলায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাত
এবার চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ও জনসমাগমপূর্ণ রেলওয়ে হকার্স মাকেটের দোকান কর্মচারীর গলায় ছুরিকাঘাত করলো একদল কিশোর গ্যাং। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই দোকান কর্মচারির গলার এক পাশের অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতে মার্কটের বি-ব্লকের ৭নং মর্ডান সু স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দোকান কর্মচারী পারভেজ (১৭) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, মডার্ন সুজ নামের জুতার দোকানের কর্মচারীরা রাত ৮টায় দোকানে বসে নাস্তা করছিলেন।
হঠাৎ করেই একদল কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মডার্ন সুজের কর্মচারী নাজমুলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। প্রথমে তাকে হাত দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকে। এসময় পাশের দোকানের মালিক-কর্মচারিরা এগিয়ে আসতে চাইলে তাদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখানো হয়।
এক পর্যায়ে তাদের একজন ধারালো ছুরি দিয়ে নাজমুলের গালায় আঘাত করে। তাৎক্ষণিক নাজমুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাঁর শরীর থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
এ ঘটনা দেখে মার্কেট ব্যবসায়ীরা হতবাক হয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের ধাওয়া করে একজন কে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক কিশোরের নাম নায়েব। তাঁর বাসা শহরের পালপাড়া এলাকায়।
এদিকে আহত নাজমুলকে মার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারিরা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে সেখানেও তাদের উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয়। এ ঘটনার খবর তাৎক্ষণিক পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে সকল ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে প্রেসক্লাব সড়কের দিকে ছুটে যায়।
অপরদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুলের অবস্থা আশংকাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে দ্রুত ঢাকায় রেফার করেন।
খবর পেয়ে হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধাও সেখানে ছুটে যান। তারা আহত নাজমুলকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে আটক কিশোর গ্যাং সদস্য নায়েবকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
অপরদিকে ঘটনার খবর শুনে তাৎক্ষণিক চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুর রশীদের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পুলিশের পরিদর্শক অলী উল্যা, এস আই শাহজাহানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা ও ব্যবসায়ীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে আটক নায়েবকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার বিষয় চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশীদ জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে হকার্স মাকেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে আপাতত কোনো কথা বলতে রাজী হননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন