কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেল বিস্ফোরণ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরণে বাবু মিয়া (৪০) নামের এক ব‍্যক্তির ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং বাম পা ঝলসে গেছে ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মেসার্স সাহা ফিলিং ষ্টেশন এর পিছনে তার নিজ বাড়িতে বিষ্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব‍্যক্তি গুরুত্বর আহত হলে প্রথমে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন‍্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত বাবু ওই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। সে পেশায় গাড়ির লেদ মিস্ত্রি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মাটি কাটার কাজ করতো বাবুর মামা আব্দুল গফুর। একই গ্রামের আজিজ কমান্ডার এর বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি কাটার সময় একটি ভারি লোহার বস্তু পায় আব্দুল গফুর। পরে সেটাকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে এনে বাবুকে দেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাবু তার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রাইস কুকার এর লাইন থেকে বিদ‍্যুৎ সংযোগ নিয়ে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টারশেলটি কেটে গুপ্তধন বের করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিকট শব্দের বিস্ফোরিত হয়। মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্না ঘরের টিনের বেড়া ছিড়ে লোহার গেট ফুটো করে পার্শ্বর্তী ফিলিং ষ্টেশন এর বাউন্ডারি ওয়ালে গিয়ে আচঁড়ে পড়ে। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অপর পা ঝলসে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা গফুর পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মর্টারশেলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের।

ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম জানান , খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি পরিত‍্যক্ত মর্টারশেল ছিলো বলে ধারনা করা হচ্ছে । তদন্ত করে পরবর্তী ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।