চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ সময় অন্তত ২০ জনকে আটকের অভিযোগও করছেন আন্দোলনকারীরা।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বাংলামোটর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনকালী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’ এর সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন জানান, সকাল ১০টায় শাহবাগ এলাকায় তারা সমাবেশ করে বেলা ১১টার দিকে তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওয়ানা হন। তবে বাংলামোটর এলাকায় মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাদের ওপর লাঠিপেটা করে পুলিশ।

ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ বিনা উস্কানিতে এই হামলা করেছে। এতে আমাদের ৫০ জনের মতো আহত হয়। তাদের কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার এখান থেকে অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।’

এদেরকে কেন লাঠিপেটা করা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

রমনা জোনের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল তারা। আমরা তাদেরকে থামিয়ে দিয়েছি। আমরা মনে করেছি, এখানে ইন্ধন থাকতে পারে, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছি। সংখ্যাটা এখন বলতে পারব না।’

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন করে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’।

তবে আন্দোলনকারীদের দাবি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নাচক করা হয়েছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি সংসদে জানিয়েছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হবে না।

তারপরও আন্দোলন থেমে যায়নি। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও অনশন পালন করে। সেখান থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সেখান থেকে ৫০ জনেরও বেশি আটক করা হয়। পরে অবশ্য তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।