চাকরিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়োগ বন্ধের দাবি
চাকরিতে জামায়াত-শিবির ও রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়োগ বন্ধসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছয় দফা দাবি পেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনের পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। রবিবার ( ১৫ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এ দাবিগুলো তুলে ধরেছেন।
এসময় নৌমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করেছে। যেকোনও দাবি নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে হত্যাচেষ্টাকারী তারা কারা? তাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
ছাত্রদের উদ্দেশে শাজাহান খান আরও বলেন, ‘তোমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নাই করতে পারো কিন্তু অপমান করতে পারো না। কোটা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কাদের মেধাবী বলবো? আদর্শহীন কাউকে আমরা মেধাবী বলতে পারি না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত আছি, তারা কেউই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হই নাই। কিন্তু আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষ। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করছেন। যেসব ছাত্র জামায়াত-শিবির, রাজাকারদের সন্তান, তাদের কি চাকরি দেওয়া উচিত?’
মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে চাকরি দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার বিপক্ষের মেধাকে চাকরি দেওয়া যাবে না। আমরা কোটার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলছি, আপনি কোটা বাতিল করেছেন মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি আপনাকে মানতেই হবে।’
সমাবেশে যে দাবিগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো- কোটা সংস্কারের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে উস্কানি দিয়ে যারা অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জামাত-শিবির-রাজাকার সন্তানদের চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যারা সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করছে ও মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকারবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে চাকরি হতে অপসারণ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সব অস্থাবর-স্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ২০১৩,২০১৪, ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে এবং বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল গঠন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্নকারী ও মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট বা জেনোসাইড ডিনাইল ল’র আদলে আইন প্রণয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন