পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হৃদয়, নিলয় ও ছোটন তারা সম্পর্কে একই বাড়ির চাচা ভাতিজা। প্রায় সময় তারা একসাথে আড্ডা দিতেন। প্রতিদিনকার মত আজ ইফতারের সময় ছোটন নিলয়ের দোকান থেকে একটি চিপস ছিড়ে নেয়। এসময় নিলয় ছোটনের কাছ থেকে চিপসের দাম চায়। এসময় ছোটন দুষ্টুমির ছলে টাকা দিতে অস্বীকার করে। একপর্যায়ে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় হৃদয় পিছন থেকে এসে ছোটনের বুকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে ছোটন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় উপস্থিত থাকা ছোটনের বন্ধু ইকবাল হোসেন মামুন ছোটনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা আছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুর রহমান জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে আহত অবস্থায় ২২-২৩ বছর বয়সী ছোটন নামের একজন রোগিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। সে সময় তার বুকে স্টেপ (ছুরিকাঘাত) করা অবস্থায় দেখতে পাই। চেক-আপ করে দেখতে পাই রোগী মৃত। মনে হচ্ছে প্রচুর রক্তক্ষরণে সে মৃত্যু বরণ করেছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
সোনাগাজীতে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা আছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।