এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই

ঈদের আগে জিম্মিদশা অবসানের চেষ্টা

ঈদের আগেই বাংলাদেশি পতাকাবাহি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিক ও জাহাজকে মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশন। এরই মধ্যে দস্যুদের সাথে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলাপও শুরু করেছে। মালিকপক্ষ আশা করছে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এমভি আবদুল্লাহ’র সমস্যার সমাধান হবে।

কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার ওপর জোর দিচ্ছি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা শুরু করেছি আমরা। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মিদশার অবসান হবে। তবে এখনো কোনো ধরণের মুক্তিপণ দাবি করেনি সোমালিয়ান জলদস্যুরা।’

জানা যায়, ভারত মহানগর থেকে ছিনতাই করা আবদুল্লাহর জিম্মি সমস্যার অবসান করতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সাথে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে এসআর শিপিং কর্পোরেশন। যদিও এ আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে। এরইমধ্যে সোমালিয়ান জলদস্যুরা ভূমিতে এবং সাগরে চাপেই রয়েছে। ছিনতাই করা জাহাজ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে ইইউ নেভাল ফোর্স। তাদের ‘অপারেশন আটলান্টার’  একটি যুদ্ধ জাহাজ আবদুল্লাহকে কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। জিম্মি করা জলদস্যুদের সাথে পান্টল্যান্ডের ভূমির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান শুরু করেছে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ। এরইমধ্যে আবদুল্লাহ জাহাজে দস্যুদের জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার নিয়োজিত একটি গাড়িকে আটক করা হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন। যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠি কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশনের।  জাহাজটি সাধারণ পণ্য পরিবহণ করে।