চুয়াডাঙ্গায় কালো মেঘে কাল বৈশাখী ঝড়
ঝড় ঝাঁপটার মাস বৈশাখ মাস। প্রবল ঝড় বৃষ্টির কষাঘাতে কালবৈশাখী হিসেবে প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত রয়েছে। এ মাসের প্রতিটা দিনই এক প্রকার আতঙ্ক কাজ করে বিশেষ করে আধাপাকা কাঁচা ঘরবাড়ীর মানুষগুলোর। বড় বড় বিল্ডিংয়ের মানুষগুলোর মধ্যেও যে আতঙ্ক থাকে না তাও কিন্তু নয়। কাল বৈশাখীর নিয়ন্ত্রণহীন ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছেঁড়া গাছগাছালিসহ অদম্য বাতাসে ঘরের টিনের ছাউনী উড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় মানুষের।
অধচ বৈশাখীর কালো থাবা মাসের প্রথম দিক থেকেই তেমন কোনো ঝড়ের আক্রমণ না থাকলেও বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে প্রায় প্রতিটা দিনই সকাল থেকে বিকেল-সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্যাপসা গরম আর বৈশাখালীর ঝড়ের আভাস। এরই মধ্যে বিরাজ করছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্ক। কিন্তু কখন কাল বৈশাখীর কালো থাবা নাকী মোখা’র ইতিহাসজনক ঘূর্ণিঝড় আঁছড়ে পড়বে এমন চিন্তা বিরাজের মধ্যেই অবস্থান করছিল চুয়াডাঙ্গার মানুষ।
তার অংশ হিসেবে গত বুধবার (১৭ মে) বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যার অপেক্ষায় ঠিক এমন সময়ই শুরু হয় কাল বৈশাখীর তাণ্ডব। হালকা হালকা বৃষ্টির সাথে সাথে উঠে পড়ে উলোটপালোট ঝড়। ঠিক সেসময় বিদ্যৎ বন্ধ হয়ে গেলে আতঙ্ক বেড়ে যায় অন্তত চুয়াডাঙ্গার নিন্ম কাঁচা পাকা ঘরবাড়ীর মানুষগুলোর। তবে ঝড়ের কিছুটা গতিবেগ থাকায় ছোট ছোট বিভিন্ন গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে।
এদিকে, সন্ধ্যার ঝড় রাতে থেমে যায়। কিন্তু বৈশাখ মাস গড়িয়ে জ্যৈষ্ঠ মাসের ৩/৪ তারিখ অবস্থান করলেও থেমে নেই কাল বৈশাখীর ক্ষতিগ্রস্ত ঝড়। যেন চলে যাওয়ার আগে মনে রেখে যেতে চায় ”বৈশাখ মাস’র কাল বৈশাখী ঝড়। তেমনীভাবেই গত বুধবার দিনগত রাত পেরিয়ে ঘুমে বিভোগ মানুষ। ঠিক সেসময় বুধবার দিনগত রাত পেরিয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অর্থ্যাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই শুরু হয় কাল বৈশাখীর প্রচÐ ঝড়। হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। তখন ঘুমের ঘোরে আরও বেশি আতঙ্ক হয়ে পড়ে চুয়াডাঙ্গার মানুষ। প্রায় ১ ঘণ্টার ঝড়ে জেলার বিভিন্ন মাঠে লাগানো ধান, আমগাছ, লিচু গাছ, পানবরজ, ভুট্টা, পেঁপে কলাবাগানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাছের ডালপালা ভেঙে রাস্তায় বিদ্যুতের তারের ওপর আচড়ে পড়ার ঘটনা ঘটঠে কিছু চলাচলে বিঘœ ঘটে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৫ কিলোমিটার ও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৩৫ মিলিমিটার।
তবে এ ঝড় চুয়াডাঙ্গা শহর পর্যায়ে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে ধান, ভুট্টা, পানবরজ, পেঁপে গাছ, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের।
তবে ওইসকল বিভিন্ন ফসলের সঠিক কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত বলতে পারেনি কৃষি অধিদপ্তর।
অপরদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় সারাদিনই মুখ কালো করে ছিল আকাশ। এমন কাল বৈশাখের ঝড়েও তুলনামুলক গরম কাটলেও তেমন একটা স্বস্তি ফিরে আসেনি চুয়াডাঙ্গার মানুষের মধ্যে। তবে আগামী দুদিন বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হতে পারে ধারাণা করছে আবওয়া অধিদপ্তর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন