চুয়াডাঙ্গার বাগানপাড়ার যুবলীগনেতা সুইটসহ ৩জন গ্রেফতার
চুয়াডাঙ্গায় সাবিব ও দিপু নামের দুই যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় যুবলীগ নেতা পৌর শহরের বাগানপাড়ার সুইট, জ্বিনতলা মল্লিক পাড়ার সজল ও ঈদগাহ পাড়ার জীবনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একই মামলায় তিনজনসহ মোট ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার (২৯ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
এর আগে শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন ডিজিটাল মোড় এ্লাকায় হামলার ঘটনায় আহত ব্যত্তিদের পক্ষে দিপুর ভাই জিতু চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গতকালই তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, গুরুতর আহত সাবিব জামানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। তিনি এখনও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
জানা গেছে, ছাত্রলীগকর্মী সাবিব ও দিপুদের সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে যুবলীগকর্মী সাকিব, ঈদগাহ পাড়ার সৌরভ, সিয়াদ, জিম ও ফাহিম গত মঙ্গলবার রাতে শহরের ডিজিটাল মোড়ের ফুড গোডাউনের সামনে সাবিব ও দিপুদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় তাদেরকে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত দিপু ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, এর আগে সাকিব, সৌরভ, সিয়াদ, জিম ও ফাহিমরা মোটরসাইকেল ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে আমাদের। এ ঘটনায় তাদের সাথে শত্রুতা চলে আসছিল। গত মঙ্গলবারও তারা আমাদের একজনের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। বিষয়টি মিমাংসা করতে ঈদগাহ পাড়ার লেবুকে জানানো হয়। এরপর রাতে ফুড গোডাউনের সামনের রাস্তা থেকে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাকিব, সৌরভ, সিয়াদ, জিম, ফাহিমসহ কয়েকজন আমাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে।
সেসময় রাত ১১চার দিকে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দা ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি সাবিব ও দিপুকে কুপিয়ে জখম করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামী করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন