চুয়াডাঙ্গায় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কোপালো স্বামী

চুয়াডাঙ্গায় নাজমিন আক্তার (২৫) নামের এক তালাকপ্রাপ্তা গৃহবধূকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী বাবু খাঁ।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সাবেক স্ত্রীর বাবার বাড়ী গিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।

নাজমিন আক্তার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর মাঠপাড়া গ্রামের আশাফুল ইসলামের বড় কন্যা নাজমিন আক্তার।

জানা যায়, ১০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে কুষ্টিয়া খাজানগরের আদর্শ পাড়ার জলিল খাঁ’র পুত্র বাবু খাঁ’র সাথে। প্রথমদিকে তাদের ঠিকঠাকভাবে দাম্পত্য জীবন চলছিল। সময়ের পরিবর্তনে নাজমিন আক্তারের গর্ভে কন্যা সন্তান আসার পর থেকে বিভিন্ন সময় কলোহের সৃষ্টি করে বাবু খাঁ।

গত ৩ মাস আগে বাবু খাঁ’র সাথে বনিবনা না হলে নাজমিন স্বামীকে তালাক দেয়। তারপর থেকেই নাজমিনের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগও ছিলনা।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে নাজমিনের বাবার বাড়িতে এসে তার বাড়ীতে আবার ফিরে যাওয়ার জন্য কথা বলাবলি। নাজমিন যেতে না চাইলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষতি করার মানসে তাকে এলোপাথাড়িভাবে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী বাবু খাঁ। স্থানীয়রা দ্রুত জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর দেখা দেয়ায় যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালে রেফার্ড করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাশেদুজ্জামান রিপন।

তবে সাবেক স্ত্রীকে কোপানোর পর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী বাবু খাঁ পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ধরে আটকে রাখে। পরে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধাকে খবর দেয়া হয়। দ্রুত তার নির্দেশনায় এসআই সিধার্থ মন্ডল ও এএসআই মকলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। পরে তার দোষ স্বীকার করলে তাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। সেসময় নাজমিনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, নাজমিনের সাথে তালাক হওয়ার পর তার স্বামী আবার তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালায়। নাজমিন রাজি না হলে তাকে হাসুয়া দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় আহতের বাবা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা করার পর আসামী বাবু খাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।