চুয়াডাঙ্গায় প্রবাসী স্ত্রীর নগ্নছবি ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় গ্রেফতার-২

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইলে থাকা তাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত নগ্ন ছবি ও তার নামে কুৎসা সম্বলিত লিফলেট ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যার দিকে প্রধান আসামী রাজমিস্ত্রি শুকুর আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে আবুল বাশার নামের এক কম্পিউটার দোকানদারকে গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

শুকুর মিস্ত্রী চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের সাহেবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ও আবুল বাশার সরোজগঞ্জে বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হাকিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল রানা কয়েক বছর আগে চুয়াডাঙ্গার সরোজঞ্জের বোয়ালিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পর স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কুয়েতে চলে যান তিনি।
এরপর দেড় বছর আগে সাহেবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে শুকুর মিস্ত্রী সাহেবপুরে ফারজানার বাপের বাড়ি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যায়। এ সময় ফারজানার সাথে শুকুরের পরিচয় ঘটে। ফারজানা ও তার প্রবাসী স্বামীর সাথে তোলা কিছু নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারন করা ছিল। শুকুর মিস্ত্রী কৌশলে ফারজানার মোবাইল থেকে ছবিগুলো চুরি করে। পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্নভাবে স্বার্থ হাছিল করার উদ্দেশ্যে নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয় ছবিগুলো।

এরপর শুকুর ফারজানাকে সমাজের কাছে হেয় করার উদ্দেশ্যে ফাঁদে ফেলার ভয় দেখিয়ে বহুবার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। প্রায় দেড় বছর ধরে নানাভাবে ফন্দি আটলেও সে প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানাকে কাছে টানতে পারেনি।

অবশেষে ব্যর্থতায় রাগান্বিত হয়ে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে হাকিমপুরে শ্বশুর আনোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে চুরি করা কিছু নগ্ন ছবি ও কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে লিফলেট ফেলে যায়।

পরদিন সেসব দেখে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) রাতে ফারজানার শ্বশুর বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় শুকুর আলী মিস্ত্রীর নামে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা করেন।