চুয়াডাঙ্গায় মাদক কারবারিকে গলা কেটে হত্যা

চুয়াডাঙ্গায় মাদক বেচাকেনা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সমাজ পরিণত হয়েছে অসামাজিকে। আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কিছুটা কমে আসায় ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী ও কারবারীরা। যার অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় এক মাদক কারবারিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত মাদককারবারী কিতাব আলী (৪৮) জেলার জীবননগর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
নিহত কিতাব আলী ও তার স্ত্রীর বাপের বাড়ীতে থেকে তারা দুজনই মাদক কারবারির কাজ করতেন।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে দামুড়হুদার হাউলি ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে তাঁর ছিন্ন ভিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিট পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক জানান, আজ বুধবার সকালে কাদিপুর গ্রামের মাঠে কিতাবের ছিন্নভিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে. দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি দামুড়হুদার কাদিপুরে ঘর জামাই থাকতেন নিহত কিতাব। দীর্ঘদিন তারা স্বামী-স্ত্রী মাদকের কারবার সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের নামে থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক কারবারের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতেই তাকে হত্যা করা হতে পারে।

নিহত কিতাব আলীকে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনও শেষ করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছে মাদকের অভ্যয়ারণ্য হলো দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা কুতুবপুর দর্শনাসহ বিভিন্ন তালিকাভুক্ত গ্রামে আবারও বেড়েছে মাদক বেচাকেনা। এতে করে সমাজ নষ্টের মুখে পড়ে যাচ্ছে। যদি এক্ষনী মাদকের ওপর কঠোর অভিযান পরিচালনা করা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে চুয়াডাঙ্গার কিশোর ও যুবসমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে। যার দায়ভার পুলিশ প্রশাসনের রয়েছে।

পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ অভিযানের মধ্যদিয়ে মাদক ব্যবসা বন্ধ করবে এমনটাই মনে করে স্থানীয় সচেতন মহল।