চুয়াডাঙ্গায় মাদক পাচারকালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ; ২জনকে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গায় মাদক পাচারাকালে অপর গ্রুপ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক গ্রুপের দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।

দর্শনার জয়নগর সীমান্ত দিয়ে মিনারুল গ্রুপ ফেনসিডিল পাচার করার সময় সুলতানপুরের চোরাকারবারী পলাশসহ গ্রুপের লোকজন ফেন্সিডিল ছিনিয়ে নিতে চাইলে পলাশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরিফ ও মিনারুল নামে দুই মাদকব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে। সেসময় তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) ভোরে জয়নগর-সুলতানপুর ভারত সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে আহত আরিফ (২৮) জয়নগর গ্রামের হানিফের ছেলে এবং মিনারুল ইসলাম (২৫) একই গ্রামের আজম আলীর ছেলে। সেসময় ৫জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন জয়নগর গ্রামের ইজাজুলের ছেলে জিয়ারুল (২১), একই গ্রামের মৃত আলামিন শেখের ছেলে হাসমত আলী (৩৫), দিল মোহাম্মদের ছেলে মাহবুব (২৬), আইয়ুব আলীর ছেলে লাল্টু শেখ (৩৬) ও আজল আলীর ছেলে মিনারুল (২৩)। আটক ব্যক্তি জিয়ারুল ইসলামের থেকে ৫০ বোতল এবং হাসমত আলীর কাছ থেকে ৪২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ছাব্বির (১৯), মজিদ (৩৮), ইজাজুল (৪৫), আরিফ (২৫), আক্তার (৩০), সোহেল (২৫), পলাশ (২৭) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল শাহ ইশতিয়াক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আহত দুজনের মধ্যে একজনকে ঘটনাস্থলে পাওয়া গেলেও অপরজন পালিয়ে যায়।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইসএম লুৎফুল কবীর এবং চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল শাহ ইশতিয়াক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জব্দকৃত ফেনসিডিলসহ আটক হওয়া আসামিদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা, ওয়াহিদ মাহাবুব রবিন বলেন, আহত ২ জনের ডান হাতে কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।