চোখ-নাক ছাড়া জন্ম নেওয়া শিশুটি দিব্যি বেঁচে রয়েছে ৯ বছর ধরে!

২৪ সপ্তাহেও গর্ভস্থ ভ্রূণের মস্তিষ্ক ও খুলি তৈরি হয়নি। বাঁচার কোনও আশা নেই। তাই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুণের এক মহিলা। ওই মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতিতে সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

একথা ঠিক, যেসব শিশু অঙ্গবিকৃতি নিয়ে জন্মায়, সেইসব শিশুকে বাঁচিয়ে রাখাটা বেশ কঠিন কাজ। অনেক ক্ষেত্রে বাঁচার আশাও থাকে না। অন্তত চিকিৎসকরা তো তেমনই বলেন। কিন্তু এর উলটোটাও যে ঘটতে পারে, তারই প্রমাণ মিলল। চোখ, ঠোঁট ও নাক, এক কখায় মুখমণ্ডল ছাড়াই দিব্যি ন’বছর পার করে দিল এক শিশুকন্যা। ঘটনায় হতবাক চিকিৎসকরা।

ভিটোরিয়া নামের ওই শিশুকন্যাটি জন্মেছে ব্রাজিলে। জন্মের পর দেখা যায়, শিশুটির চোখ, ঠোঁট, নাক কিছুই নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, শিশুটি ট্রিচার কলিনস সিনড্রোম নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্তদের মুখে ৪০টি হাড় তৈরি হয় না। তাই সদ্যোজাতের চোখ, ঠোঁট ও নাক থাকে না।

এমনকী, বাবা-মাকে শিশুটির শেষ সময়ের জন্য মনকে প্রস্তুত করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, সন্তানের পরিণতি জানার পর ভেঙে পড়েননি ভিটোরিয়ার বাবা-মা। বরং, নিজেদের সন্তানকে সুস্থ জীবন দিতেই বদ্ধপরিকর ছিলেন তারা।

ওই শিশুকন্যার চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহে নামেন তার বাবা-মা। কৃত্রিমভাবে চোখ, নাক ও ঠোঁট তৈরির জন্য ছোট্ট ভিটোরিয়ার শরীরে আটবার অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৫০ হাজারে মাত্র একজনই ট্রিচার কলিনস সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়।

সম্প্রতি ধুমধাম করে ভিটোরিয়া ন’বছরের জন্মদিন পালন করা হল। কিন্তু কীভাবে এত দিন বাঁচল সে? রীতিমতো ধন্দে চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বাবা-মায়ের যত্নই মেয়েটি বাঁচিয়ে রেখেছে।