জনসেবা করতেই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে পড়েছি: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, জনসেবাটা যেন একটু দক্ষতা নিয়ে করতে পারি সে জন্যই ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়েছি। ডাক্তারি পড়েছি, আইন পড়েছি, জনস্বাস্থ্য নিয়ে পড়েছি। আর এ ভিন্ন ভিন্ন বিষয় পড়লেও লক্ষ্য ছিল একটাই জনসেবা, অর্থাৎ রাজনীতি।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে বিশ্ব শিশু কন্যা দিবস ২০২২ উপলক্ষে ‘রুম টু রিড’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনীতির একটি পরিবেশের মধ্যে বড় হয়েছি। একদম ছোট বেলায় যখন আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করতো, তুমি বড় হলে কী হবে, আমি বলতাম রাজনীতিবিদ হব। তারপর আস্তে আস্তে যখন বড় হয়েছি তখনও ভাবিনি যে, অন্য কিছু হব। ছোটবেলায় বলার সময় যুক্তি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতাম, সে জন্য অনেক সময় আত্মীয়-স্বজনরা বলতেন এই মেয়ে বড় হলে ব্যারিস্টার হবে। তবে আমার নিজের কখনও মনে হয়নি যে, ব্যারিস্টার হব।

তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যখন কোথায় কী পড়ব ভাবার সময় এলো, সে সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম হয়তো সাহিত্যে পড়ব, না হলে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করব আর সেই সঙ্গে রাজনীতি করব। আর সেজন্যই জনসেবাটা যেন একটু দক্ষতা নিয়ে করতে পারি তাই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে পড়েছি।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু পরীক্ষার ভালো ফল করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভালো মানুষ হিসেবে সহমর্মিতা, নীতি-আদর্শ ও ভালো মানুষ হওয়াটা বেশি জরুরি। আমরা শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। পরীক্ষার প্রতি গুরুত্ব কমিয়ে তারা যেটি পড়ছে সেটি যেন বুঝে ও শিখে পড়তে পারে। সেভাবে নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে পড়তে ও বুঝতে পারবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছেলে ও মেয়েদের সমঅধিকার বা আলাদা করার কিছু নেই। আমরা চাই উভয়ের যার যেখানে যেটি প্রয়োজন সেটি নিশ্চিত করতে। ছেলে বা মেয়েদের বেড়ে উঠতে কোনো বাধা থাকবে না। মুক্ত আকাশের মতো তারা বড় হবে।

দীপু মনি বলেন, জীবনে যত প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় সেখান থেকে নতুন শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়। করোনা মহামারি আমাদের সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে। পৃথিবীতে কোনো প্রতিকূলতা মানুষকে বেধে রাখতে পারে না, সেখান থেকে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই নারী-পুরুষ হিসেবে আলাদা করে নয়, উভয়কে সমান সুযোগ নিশ্চিত করাটাই আমাদের লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মেহজাবিন হক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আয়োজক সংগঠনের কর্মীরা।