জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২নং সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবদুল রায়হানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ করেছেন সদরঘাটগামী ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের এক চালক ও হেল্পার।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী চালক ও হেল্পার। অভিযোগে তারা লিখেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় নয়াবাজার মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব ১১-৯৬৬৩ গাড়িটি আটক করে চাঁদা দাবি করে রায়হান ও তার এক সহযোগী। পরে কবি নজরুল কলেজে নিয়ে চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করা হয় গাড়ির চালক মো: মমিনকে। পকেটে থাকা ৫০৫০ টাকা থেকে ৪০৪০ টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী চালক মমিন।
অভিযোগের বিষয়ে আবদুল রায়হান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বা এই ধরনের কোনো ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। কে বা কারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাড় করিয়েছে।
উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ এস এম আকতার হোসাইন বলেন, কোনো ব্যক্তির দায়ভার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত বিচার করা হবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল জানান, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনা যেহেতু ক্যাম্পাসের বাহিরে তাই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে পরামর্শ দিয়েছি।
অভিযুক্ত রায়হান জবি নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় জবি ছাত্রলীগের সুপার কমিটিতে স্থান হয়েছিল। আবদুল রায়হান আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এর অনুসারী ছিল। এখন আর নেই বলে জানা গেছে এবং কি কারো পক্ষেই রাজনীতি করে না সে। এর আগেও তার নামে অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন