গোবিন্দগঞ্জে সরকারি বই বিক্রিকালে জনতার হাতে শিক্ষক-কর্মচারী আটক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরমাপুর বুড়িরভিটা আনন্দ বাজার থেকে রোববার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি বই বিক্রিকালে জনতা কর্তৃক আটক করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স¤পৃক্ত শিক্ষিকাকে বইগুলো বিদ্যালয়ে ফিরে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বিক্রি দন্ডনীয় অপরাধ হলেও কর্তৃপক্ষের দায়সারা বক্তব্যে স্থানীয় জনতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার হরিরামপুর বালিকা দ্বি-মুখী বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী উত্তম কুমার ও জুনিয়র শিক্ষিকা (প্রধান শিক্ষক দাবিদার) চামেলি বেগম ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বস্তাভর্তি ৪২৭ পিস বই বিক্রির জন্য শাহজাহান শেখের ভাংরির দোকানে আনেন। বইগুলো ওজন করাকালে সাধারণ জনগণ বুঝতে পেলে ওই প্রহরী ও শিক্ষিকা সটকে পড়ে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ কবিরকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বইগুলো জব্দ করেন।

পরবর্তীতে চামেলি বেগমকে ডেকে এনে কথা বললে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল ও সাউন্ড বক্স মেরামত করার জন্য গুদাম পরিষ্কার করে উদ্বৃত্ত ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বইগুলো বিক্রির জন্য পাঠিয়েছি। এসময় তিনি আরও জানান, মাধ্যমিক স্যার বইগুলো স্কুলে নিতে যেতে বলেছেন।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম পারভেজ বলেন, বইগুলো বিদ্যালয়ে নিয়ে যাক, পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার এমন বক্তব্যে উপস্থিত জনতা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। উপস্থিত লোকজন ও সাংবাদিকরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগমকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সুন্দরগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জের ঘটনাতেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, চামেলি বেগমের স্বামী অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং বর্তমানে সভাপতি হওয়ার লক্ষ্যে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি সেই মামলাজনিত কারণে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। রাতে অফিস সহকারীর মারফত বিষয়টি জেনেছেন। এটি কারোরই কাম্য নয়। তিনি ফিরে এসে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ওই শিক্ষক এবং নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।