ইতিহাস ঐতিহ্য
জমিদার রানী রাশমনি: দাবা খেলা জিতে কলারোয়া অঞ্চলের জমিদারী লাভ
ইতিহাস ঐতিহ্য
জমিদার রানী রাশমনি: দাবা খেলা জিতে কলারোয়া অঞ্চলের জমিদারী লাভ
প্রফেসর মো. আবু নসর
অকুতোভয় তেজস্বিনী নির্ভিক বাঙালি বিরঙ্গণা রানী রাশমনি ১৭৯৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবাংলার ব্যারাকপুরে অধুনা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হালিশহরের কোনা গ্রামে এক দারিদ্র ধর্মপ্রাণ কৃষিজীবী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তবে অনেকে রানীমার জন্মদিবস হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ২৬ সেপ্টেম্বরের কথাও বলে থাকেন। তার পিতার নাম হরেকৃষ্ণ দাশ ও মাতা রাম প্রিয়া দাশি। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি তার মাকে হারান। রাশমনি ছিলেন অসামান্যা সুন্দরী। মাত্র এগারো বছর বয়সে কলকাতার জানবাজারের ধনী জমিদার বাবু ২১বছর বয়সী রাজচন্দ্র দাস-এর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। তাদের কোন পুত্র সন্তান ছিলো না। ছিলো চার কন্যা- পদ্মমনি, কুমারী, করুণাময়ী ও জগদম্বা। পদ্মমণির স্বামী রামচন্দ্র দাশ, কুমারীর স্বামী প্যারিমোহন চৌধুরী। করুণার বিবাহ হয় মথুরবাবুর সাথে, বিবাহের কয়েক বছর পর করুণার মৃত্যু হয়। মথুরামোহন বিশ্বাস তখন জগদম্বা কে বিবাহ করেন।
১৮৩৬ সালে রাশমনির স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি স্বহস্তে তার জমিদারির ভার তুলে নেন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তা পরিচালনা করতে থাকেন। ছিলেন কলকাতার জানবাজারের বাসিন্দা প্রসিদ্ধ মানবদরদি জমিদার।
ব্যক্তিগত জীবনে রাণী রাসমণি এক সাধারণ ধার্মিক বাঙালি হিন্দু বিধবার মতোই সরল জীবনযাপন করতেন। বাবু রাজচন্দ্র দাশের স্ত্রী ছিলেন বলে রাণী রাসমণি-কে বলা হয় রাসমণি দাশী।
দাবা খেলা জিতে কলারোয়া অঞ্চলের জমিদারী লাভ
সুদূর হোসেনপুর (পরবর্তীতে বর্তমানের কলারোয়া) অব্জলটি রানী রাশমনির জমিদারির অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পিছনে একটি কিংবদন্তি পাওয়া যায়। রাশমনি খুব সুদক্ষা, বুদ্ধিমতি ও একজন বিশিষ্ট স্বনামখ্যাত দাবাড়– ছিলেন। ওই সময় চন্দনপুর, সোনাবাড়িয়া ও হোসেনপুর পরগনার (বর্তমানে কলারোয়া) জমিদার ছিলেন মধু সান্ডেল ও কালু সান্ডেল দুই ভাই। দাবা খেলাতে দু’ভাই অশেষ সাফল্য ও কৃতিত্ব অর্জন করেন। দাবাড়– হিসেবে রানী রাশমনির পরিচিতিও তখন সর্বত্র। রানী রাশমনির কথা শ্রবণ করে বড়ভাই জমিদার মধু সান্ডেল ঘোষনা দিলেন যে, যদি রানী রাশমনি দাবা খেলায় তাকে হারাতে পারেন তাহলে চন্দনপুর, সোনাবাড়িয়া ও হোসেনপুর পরগনা (বর্তমানে কলারোয়া) অঞ্চলের সম্পূর্ণ জমিদারী রানী রাশমনিকে দিয়ে দেয়া হবে। আর বিধবা রানী রাশমনি পরাজিত হলে মধু সান্ডেলের সঙ্গে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহন করলেন রানী রাশমনি। অবতীর্ণ হলেন দাবা প্রতিযোগিতায়। প্রচন্ড প্রতিযোগিতায় মধু সান্ডেল দাবা খেলায় শেষ পর্যন্ত অসহায়ভাবে পরাজয় বরণ করেন। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী মধু সান্ডেল ও তার ছোট ভাই কালু সান্ডেল বর্ণিত ওই ৩টি অঞ্চলের জমিদারী রানী রাশমনিকে হস্তান্তর করেন।
রানী রাশমনির কন্যা জগদম্বার স্বামী মথুরা মোহনের পৈত্রিক নিবাস ছিলো বর্তমানে কলারোয়া লাগোয়া ভারতের পশ্চিমবাংলার ২৪পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার স্বরুপনগর থানার অন্তর্গত বিথারী গ্রামে। তিনি এই অঞ্চলে রানী রাশমনির বিশাল জমিদারী তদারকি করতেন।
রাশমনির আরেক কন্যার পুত্র অর্থাৎ নাতি দূর্গাপ্রিয় চৌধুরী পরে হোসেনপুর তথা কলারোয়া পরগণার জমিদার ছিলেন। ততদিনে হোসেনপুর কলারোয়া নামে সবখানে পরিচিত। তিনি খুুলনা কালেক্টরেটের ১৮, ২০ ও ২১নং তৌজির এবং কয়েকটি তালুকের মালিক হন। অন্য নাতি চন্ডিচরণ চৌধুরী, প্রসন্ন গোপাল চৌধুরী, নবকুমার চৌধুরী ও নবকিশোর চৌধুরী প্রত্যেকে একেকটি পরগণার জমিদার ছিলেন। তাদের জমিদারী সুদূর বাকড়া ও ঝিকরগাছা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। এখানে উল্লেখ্য যে, রানী রাশমনির মৃত্যুর তার সম্পত্তি কন্যাদের মধ্যে বন্টন হয়।
‘রোদ দেখো তো সোনাবাড়িয়ার কাছারি যাও’
ইতিহাস ঘেটে জানা যায়, রানী রাশমনির জমিদারী ক্রয়ের পূর্বে ইংরেজরা নায়েবের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে জুলুম করে খাজনা আদায় করতো। খাজনা বাকী থাকলে, চাবুক মারা, পাগলা হাতি দিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙ্গা, বাঁশগাড়ি করা ছাড়াও ইংরেজ আমলে সোনাবাড়িয়ার জমিদারদের খাজনা আদায়ের ব্যতিক্রমধর্মী অত্যাচারের কাহিনী জানা যায়। খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে কৃষকদের জমিদারের কাছারির সম্মুখে প্রচন্ড প্রখর উৎতপ্ত টানা রোদ্রের মধ্যে খুঁটির সঙ্গে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। জ্বলন্ত প্রায় সূর্যের দিকে মুখ করে একটানা তাঁকিয়ে থাকতে বাধ্য করা হতো। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কৃষকদের প্রতি এরকম চরম অত্যাচর করা হতো। প্রতিদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই কঠোর ও কঠিন নিয়ম পালন করা হতো বলে ইংরেজরা এটাকে ‘সানসেটল’ নামে আখ্যায়িত করেছিলো। সোনাবাড়িয়া কাছারির সম্মুখস্থ চত্বরে সূর্যের উৎত্তাপ অত্যন্ত প্রখর, ক্ষীপ্র, প্রচন্ড ও অসহ্য ছিলো। সারাদিন কাটফাঠা রোদ্রের মধ্যে সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থেকে কৃষকদের শরীরে ফোসকা পড়ে যেতো। তাই একটি প্রবাদ ও প্রচবন আছে যে, ‘রোদ দেখো তো সোনাবাড়িয়ার কাছারি যাও’।
অবশ্য রানী রাশমনি জামিদারী লাভ করলে এই নৃশংস ও নির্মম অত্যাচারের অবসান ঘটে।
জনহিতৈষী কাজে রানী রাশমনি:
রাণী রাশমণি তার বিবিধ জনহিতৈষী কাজের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে সুবর্ণরেখা নদী থেকে পুরী পর্যন্ত একটি সড়ক পথ নির্মাণ করেন। কলকাতার অধিবাসীদের গঙ্গাস্নানের সুবিধার জন্য তিনি কলকাতার বিখ্যাত বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট ও নিমতলা ঘাট নির্মাণ করেন। ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি (অধুনা ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার) ও হিন্দু কলেজ (অধুনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠাকালে তিনি প্রভূত অর্থসাহায্য করেছিলেন।
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, একবার ইংরেজ সরকার গঙ্গায় জেলেদের মাছ ধরার উপর জলকর আরোপ করে। নিরুপায় হয়ে জেলেরা রাণী রাসমণির কাছে গেলে রাণী রাসমণি ইংরেজ সরকারকে ১০ হাজার টাকা কর দিয় ঘুসুড়ি থেকে মোটিয়াবুরুজ এলাকার সমস্ত গঙ্গা জমা নেন এবং রশি টানিয়ে জাহাজ ও নৌকো চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ইংরেজ সরকার আপত্তি করলে রাসমণি বলেন যে, জাহাজ চলাচল করলে মাছ অন্য জায়গায় চলে যাবে ফলে জেলেদের ক্ষতি হবে। এই অবস্থায় ইংরেজ সরকার রাণী রাসমণির ১০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং জলকর তুলে নেয়।
একবার এক নীলকর সাহেব মকিমপুর পরগণায় প্রজাদের ওপর উৎপীড়ন শুরু করলে রাণী রাসমণি তা বন্ধ করেন। তিনি ১ লক্ষ টাকা খরচ করে স্টোনার খাল খনন করেন। এতে মধুমতী নদীর সঙ্গে নবগঙ্গার সংযোগ ঘটে। সোনাই, বেলিয়াঘাটা ও ভবানীপুরে তিনি বাজার স্থাপন করেন।
বিচক্ষণ বীরজ্ঞনায় রানী রাশমনি
বিচক্ষণা রানী রাশমনি পরমহংসকে দিবাচক্ষে বুঝতে ভুল করেননি। বজ্র কঠিন পরিচয়ের সুবাদে তিনি বীরজ্ঞনা হিসেবে পূজিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী। দেশ তখন ব্রিটেশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। বিশেষ করে বাঙালিদের মানসম্মান ও ধনসম্পত্তিও তখন বিপন্ন। রানী রাশমনি বিপর্যস্থ বাঙালিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নির্ভিক চিত্তে। বৃটিশের রাঙা চোখের সামনে তিনি কখনো ভীত হননি। একবার কলকাতার যানবাজারের জমিদার বাড়ি বৃটিশদের দ্বারা আক্রান্ত হলে রানী রাশমনি মুক্ত কৃপাণ (তরবারী) হাতে সারারাত মন্দিরে দাড়িয়ে পাহারা দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সেদিন যানবাজার থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত পুরো রাস্তা রানীর আদেশে বড় বড় গাছের গুড়ি ফেলে রেখে ইংরেজদের যাতায়াত ও চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। সেদিন ইংরেজি সরকারের টনক নড়েছিলো।
ধর্মপ্রাণ বিদুষী মহিলা
রানী রাশমনি ধর্মপ্রাণ বিদুষী মহিলা ছিলেন। তিনি দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠাত্রী এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের অন্যতমা পৃষ্ঠপোষক।
ধর্মপ্রচারের জন্য তিঁনি বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছিলেন। পুণ্যশীলা রানী প্রায়শ: তীর্থ দর্শনে যেতেন। পুরীতে সেই সময় তিনি ৬০হাজার টাকা ব্যয় করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য ৩টি হীরার মুকুট তৈরি করে দিয়েছিলেন। তিনি সেখান থেকে পরে নবদ্বীপ ধামে চলে যান।
পরবর্তী উল্লেখযোগ্য ঘটনা ১২৫৪ বঙ্গাব্দে। রানী রাশমনি ঠিক করলেন তিনি বিশেষভাবে অন্নপূর্ণা দর্শনে কাশী যাবেন। রেললাইন তখনও বসেনি। আবার জলে-স্থলে সর্বত্র দস্যুর ভয়। তবু তার পরদিন ভোরেই তীর্থযাত্রা শুরু হবে। ২৪টি নৌকো দাস-দাসী রসদ আত্মীয়-স্বজন সবকিছুই তৈরি ছিল। হঠাৎ ওই রাত্রে জগৎজননী মা ভবতারিণী স্বপ্নে দেখা দিয়ে বললেন এখানেই ‘অর্থাৎ নবদ্বীপ ধামের গঙ্গা তীরে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে সেবার ব্যবস্থা করো, আমি এখানেই তোমার পূজা গ্রহণ করবো।’ প্রভাতে রানীর কাশী যাওয়া স্থগিত হলো। রানীর আদেশে কলকতার গঙ্গার পূর্ব পাড়ে দক্ষিনেশ্বর গ্রামে ৫৫ বিঘা জমি ক্রয় করা হলো। মন্দির নির্মাণের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে ব্রাক্ষ্মন পুরোহিতরা এই সময় ওই মন্দিরে পূজা করতে অসম্মতি জানালো এবং তারা মন্দির নির্মাণ কাজের বিরোধীতা শুরু করলো। কারণ রানী রাশমনি মহিষৎ সম্প্রদায়ের হিন্দু। ব্রাক্ষ্মন কর্তৃক মন্দির নির্মিত হতে হবে। রানী এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না। উচুনিচু ভেদাভেদ বিচার বিশ্লেষনের জন্য সময় নষ্ট না করে তিনি একজন উচ্চবর্ণের হিন্দু ব্রাক্ষ্মন পুরোহিতের কাছে জায়গা ও মন্দিরটি রেজিস্ট্রিপূর্বক হস্তান্তর করলেন। মন্দিরটি সম্পূর্ণরূপে নির্মাণের যাবতীয় ব্যয়ভার রানী বহন করলেন। প্রায় ৯বছর পর ১২৬২ বঙ্গাব্দে দক্ষিনেশ্বর কালি মন্দিরের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়।
১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ মে বৃহষ্পতিবার। শ্রী জগন্নাথ দেবের স্থান যাত্রার পবিত্র দিনে দক্ষিনেশ্বরের সেবালয়ে উদ্বোধনী উৎসব উদযাপিত হলো। দেশ-বিদেশ থেকে নিমন্ত্রিত লক্ষাধিক ব্রা²ন ওই উৎসবে উপস্থিত হন। উল্লেখ্য যে, পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং প্রখ্যাত লেখক নবীন কুমার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। জীবনের মহান ব্রত সেদিনে উদযাপিত হওয়ার অভূতপূর্ব আনন্দ অশ্রু নিয়ে রানী রাশমনি লুটিয়ে পড়লেন ভবতারিণীর পাদপাদ্যে। বিগ্রহের পূজা দিয়ে পুরো দিন কাটিয়েছিলেন রানী।
রাণী রাশমণি প্রতিষ্ঠা করলেন দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দির ১৮৫৫ সালে ৩১ মে বৃহস্পতিবারে স্নান যাত্রার পুণ্য তিথিতে। রাণী রাশমণি এক লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করে রুপোর রথ বানিয়ে। তাঁর গৃহদেবতা রঘুবীরকে নিয়ে কলকাতার রাস্তায় শোভাযাত্রা বের করেছিলেন।
রাণী রাশমণি প্রচলিত সেই রথযাত্রা আজও রথের দিনে দক্ষিণেশ্বরে মহাসমারোহে পালন করা হয়। রথে আরোহণ করার জগন্নাথ পুরো দক্ষিণেশ্বর প্রদক্ষিণ করেন।
কর্মবহুল এক নারী জীবনের পরিসমাপ্তি
রানী রাশমনির বীরঙ্গণার পরিচয় দিতে গিয়ে অনেক ঘটনা ভিড় করে আসে স্মৃতিপটে। ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে রানী জরে আক্রান্ত হলেন। বহু চিকিৎসকের চেষ্টা ব্যর্থ হলো। ওই বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারী বাংলা ১২৬৭ সালের ৯ ফাল্গুন গভীর রাতে কালীঘাটের বাড়িতে রানী রাশমনি পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিলেন। মৃত্যুর পরে তার মৃতদেহ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে, চন্দনকাঠে দাহ করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৬৮ বছর। পরিসমাপ্তি ঘটলো কর্মবহুল এক নারী জীবনের।
‘লোকমাতা’ সম্মান
বর্তমানে রাণী রাসমণির প্রতিমূর্তি রয়েছে কলকাতার ধর্মতলা, কার্জন পার্কে। রাণীমার সাধারণ মানুষের প্রতি দয়া-মায়া থাকার জন্য তিনি ‘লোকমাতা’ সম্মান লাভ করেন। তার মৃত্যুর পর ভারতসরকার তার স্মৃতি রক্ষার্থে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।
লেখক:
প্রফেসর মো. আবু নসর
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ,
কলারোয়া সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা।
০১৭১৭০৮৪৭৯৩
তথ্যসূত্রে সহায়তা:
সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, সম্পাদনাঃ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত এবং অঞ্জলি বসু, ১ম খন্ড, সংশোধিত পঞ্চম সংস্করণ, সাহিত্য সংসদ, ২০১০, কলকাতা, Rashmoni Devi Dakshineswar Kali Temple website. A Quest for Roots: Stree Shakti, by Rekha Mody, Stree Shakti, Calcutta, India. Published by Stree Shakti, 1999. Page 78.
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন