জমি জালিয়াতির মামলায় ঢাকার কুখ্যাত কাঞ্চনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

মায়ের জমি জালিয়াতি করে নিজের নামে লিখে নেয়ার মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আলোচিত একরামুল আহসান কাঞ্চনের ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। (১৮ মে) বৃহস্পতিবার ২০২৩ ইং তারিখে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রায়ে এ কারাদণ্ড ঘোষণা করেন।

একই সাথে ১০,০০০/-টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়। উক্ত মামলায় একরামুল আহসান কাঞ্চন ছাড়াও তার ছোট ভাই কামরুল আহসান বাদল এবং দলিল লেখক ইউনুস মিয়া, দলিলের স্বাী মির্জা ইমতিয়াজুর এবং দলিলের সনাক্তকারী মোঃ শাহাদাত হোসেন সহ মোট ৬ আসামীর একই সাজা হয়। মামলার বিরবণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী এবং ২০১০ সালের (২৮ ফেব্রুয়ারী) কাঞ্চন ও বাদল আপন মায়ের নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত ১২৭ শতাংশ জমি জাল-জালিয়াতি করে নিজেদের নামে লিখে নেয়। কাঞ্চন ও বাদলের মা কমরের নেহার ২০১০ সালের ৪ঠা মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

দীর্ঘ ১৩ বছর মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামীদের পর্যবেক্ষণ করে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ বদিউজ্জামান ১৮ মে এ মামলার রায় ঘোষনা দেন।রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী কমরের নেহার বলেন, তার চার সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান একরামুল আহসান কাঞ্চন ও কামরুল আহসান বাদল প্রতারক- ফেতনাবাজ। তারা অর্থ লোভী ও জালিয়াত। তারা ওয়ারিশ সূত্রে পর্যাপ্ত সম্পত্তি প্রাপ্তীর পরও জাল-জালিয়াতি করে মায়ের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়েছে। এটা অপরাধ। আদালত তার আর্জি শুনছেন এবং সঠিক বিচার করে সঠিক রায় দিয়েছেন। তিনি আদালতের এ রায়ে সন্তুুষ্ট।

বাদীর আইনজীবি মুহম্মদ হুমায়ুন কবির সোহেল বলেন, বিচার বিভাগের কাছে মানুষ বিচার চাইলে সঠিক বিচার পায়, এ রায়ের মধ্য দিয়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। আসামীপক্ষ নানান ভাবে বিচারকার্য দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টায় চালিয়েছে, কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর পরে হলেও সঠিক বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন আমরা দ্রুত মামলার রায় বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করবো।

আইনজীবি মুহম্মদ যুবের আলম জীবন বলেন, আদালত মৌখিকভাবে রায় ঘোষণা করেছেন, এখনও লিখিত রায় পায়নি। মামলার রায় ঘোষণার সময় একরামুল আহসান কাঞ্চনসহ কোন আসামী উপস্থিত ছিলো না। প্রত্যেকেই পলাতক রয়েছে।