জরুরি সেবা ৯৯৯ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন জয়

ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পুলিশি সেবার জন্য ‘৯৯৯’ নম্বর ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবসে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আবদুল গণি রোডে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এই সেবার উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে আলোচনা সভা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

জরুরি নিরাপত্তা বা দুর্ঘটনা পরিস্থিতিতে সহজে আইনশৃঙ্খলা বা সরকারি অন্য বাহিনীর সেবা পেতে মোবাইল ফোনে ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশি বা ফায়ার সার্ভিসের সেবা পাওয়া যাবে। এছাড়া পাওয়া যাবে হাসপাতালে যাওয়ার অ্যাম্বুলেন্সও।

৯৯৯ সেবাটি সম্পূর্ণ টোলমুক্ত অর্থাৎ এ নম্বরে কল করলে কোন টাকা খরচ হবে না। তবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে হলে টাকা খরচ করতে হবে।

বাংলাদেশে এক বছর আগে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবাটি চালু করে সরকার। তখন ছয় মাস চালু ছিল এই সেবা। তখন সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কল করা যেত। তবে এখন থেকে ২৪ ঘণ্টাই কল গ্রহণ করা হবে।

ছয় মাসের অভিজ্ঞতার আলোকে ভুল ত্রুটিগুলো শুধরে নিয়ে ও নতুন নতুন যেসব সংযোজন-বিয়োজন দরকার ছিল, তা করে এই সেবাটি পুরোদমে চালু করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানিয়েছে, ৯৯৯ সেবার প্রশিক্ষিত প্রতিনিধিরা জরুরি মুহূর্তে প্রয়োজন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন। এ জন্য গত এক বছরে অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর সেখান থেকে বিপদগ্রস্তদেরকে আবারও কল করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেবাটির সঙ্গে সম্পৃক্তরা। এ জন্য ফোনটি চালু রাখার তাগাদা দিয়েছেন তারা।