জল্পনার অবসান, বার্সেলোনার অনুশীলনে ফিরলেন মেসি
গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল বার্সেলোনার প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি। কিন্তু ক্লাবের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করে গত সপ্তাহের শুরুতে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে হাজির থাকেননি লিওনেল মেসি।
ওই ঘটনায় আর্জেন্টাইনের ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি আরও জোরালো হয়। মেসি অনুশীলনে না আসায় জোয়ান গাম্পার ট্রেনিং গ্রাউন্ডের বাইরে মেসির জন্য অপেক্ষারত এক খুদে সমর্থকের কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল ইন্টারনেটে।
কিন্তু এক সপ্তাহ পর বদলালো চিত্রটা। গত শুক্রবার গ্লোবাল ক্রীড়া ওয়েবসাইট গোল ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লাব ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল মায়েস্ত্রো।
এরপর থেকেই জল্পনা চলছিল কবে তিনি অনুশীলনে যোগ দেবেন।
সোমবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নয়া কোচ রোনাল্ড কোম্যানের প্রশিক্ষণে প্রথমবার অনুশীলনে হাজির হলেন লিওনেল মেসি।
একদিন আগেই অনুশীলনে হাজির হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোভিড পরীক্ষা দিয়েছিলেন মেসি। এরপর এদিন ক্লাবের সান্ধ্যকালীন সেশনে যোগ দিতে জোয়ান গাম্পার ট্রেনিং গ্রাউন্ডে প্রবেশ করতে দেখা যায় আর্জেন্টাইনকে।
দীর্ঘ দু’সপ্তাহের টালবাহানার পর এদিন জোয়ান গাম্পার ট্রেনিং গ্রাউন্ডের বাইরে মেসিকে স্বাগত জানানোর জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন কিছু অত্যুৎসাহী সমর্থক। ছিল সংবাদমাধ্যমের ভিড়। দলের অন্যান্য সতীর্থদের অনেক আগেই নিজের গাড়িতে অনুশীলন কেন্দ্রে প্রবেশ করেন লিও।
গত শুক্রবার গোলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মেসি বার্সেলোনায় আরও একবছর থেকে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। অন্ততপক্ষে আরও একবছরের জন্য বার্সেলোনার জার্সি গায়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগীতায় নামবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
মেসি গোলকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম মৌসুম শেষে আমি অন্য ক্লাবে যাওয়ার জন্য ফ্রি। প্রেসিডেন্ট আমাকে সবসময় বলে এসেছিলেন মৌসুম শেষে আমি যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু মৌসুম শেষে তারাই জানায় ১০ জুনের আগে আমার এই সিদ্ধান্তের কথা ক্লাবকে জানিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল।’
রিলিজ ক্লজের ব্যাপারে ক্লাবের সঙ্গে তার মতানৈক্যের ব্যাপারটাকে আদালত অবধি চাইলেই নিয়ে যেতে পারতেন মেসি। কিন্তু সেটা তিনি করতে চাননি বলেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ব্লগ্রানা ক্লাবের হয়ে রেকর্ড ৬৩৪ গোলের মালিক।
মেসির কথায়, ‘আমি বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কখনোই আদালতে যেতে চাইনি কারণ ক্লাবকে আমি ভালোবাসি। এখানে আসার পর এই ক্লাব আমায় সবকিছু দিয়েছে। আমি এখানে আমার জীবন তৈরি করেছি। বার্সা যেমন আমায় সব দিয়েছে তেমনই আমিও বার্সাকে সব উজাড় করে দিয়েছি।’
সূত্র : কলকাতা টোয়েন্টিফোর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন