হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ নিহত ৪

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ট্রাকের সঙ্গে পাজেরো জিপের সংঘর্ষে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজলসহ চার জন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন যশোরের বাঘারপাড়ার ইউসুফ আলী বিশ্বাসের ছেলে এবং চেয়ারম্যান কাজলের ফুফাত ভাই আরিফুল ইসলাম (৩৫), ঢাকার তালতলা এলাকার সুমন মিয়ার মেয়ে আঁখি আক্তার (২০)। নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে নিহত ওই ব্যক্তি জিপের চালক।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার নোয়াপাড়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি জানান, উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় ঢাকা থেকে সিলেটমুখি একটি পাজেরো জিপের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংষর্ঘ হয়। এতে জিপ গাড়িটি দুমড়ে-মুচরে যায়। দুর্ঘটনায় জিপে থাকা চার জনের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরো দু’জন। আহত তিনজনের মাঝে ঢাকার তালতলার মাগফিরাত মিম (২৫) এর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটার পর উভয় দিকে শত শত গাড়ি আটকা পড়লে সেখানে দীর্ঘ যান জটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা, মাধবপুর থানা পুলিশ ও মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহতদের মরদেহ শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে যায়।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আফরোজ জানিয়েছেন, গাড়িটিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজলসহ চারজন ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তার মোবাইল ফোনটিও পাওয়া গেছে।

বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল পাথর আনার জন্য সিলেটে যাচ্ছিলেন। তিনি একজন বড় ঠিকাদার। এলাকায় রেল সড়কের যে কাজ চলছে তার টেন্ডারে তিনি অংশ নেন। তার সাথে গাড়িচালক ছিল রাসেল। সম্ভবত মারা যাওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই রাসেল হবে। কারণ তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরকারি কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা তার বাড়িতে ছুটে আসেন এই মৃত্যুর খবর পেয়ে।