জামালপুরে পেঁয়াজ চাষ বাড়লেও নেই কোন সংরক্ষণের ব্যবস্থা,‘ সরকারি ভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ
পেঁয়াজ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেঁয়াজ চাষ কে ঘিওে জামালপুরের অর্থনীতি। পেয়াজ চাষ কে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশে কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে ব্যপক সহায়তা করেছিল বলে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু পেঁয়াজ চাষ বাড়লেও সংরক্ষণের অভাব দেখা দিয়েছে। সংরক্ষণের জন্য সরকারি ভাবে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যার জন্যে পেঁয়াজ অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে।
জানা যায় জামালপুর সদর উপজেলাধীন চরাঞ্চল গুলো পেঁয়াজ চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা। লক্ষীর চর,রায়ের চর, টেবির চর, তুলশীর চর, চরগজারিয় সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যপক পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে। তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য মাচা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ ভালো ভাবে রোদে শুকিয়ে মাচায় তুলে ৬/৭মাস রাখা যায়। এ ব্যপারে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জনান,পেয়াজ সংরক্ষনাগার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সরকারের এ পরিকল্পনা যথা সময়ে বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এ দিকে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা গুলোতে পেঁয়াজ সংরক্ষনাগার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগ একটি মডেল তৈরি করে ফেলেছে। কৃষি বিপনন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে পেঁয়াজ চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা গুলোতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য মডেল ঘর তৈরি করা হবে। প্রতিটি মডেল ঘরে ৩থেকে ৪শ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। এ ব্যপারে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,আওয়ামীলীগ সরকার কৃষক বান্ধব। কৃষি শিল্পকে রক্ষা করার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হওয়ামাত্র পেঁয়াজ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন