জামালপুরে মসলা জাতীয় উদ্ভিদ হলুদের চাষ বাড়ছে
কৃষি ও কৃষককে স্বনির্ভরতা করার লক্ষ্যে সরকার একের পর এক পরিকল্পনা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মসলা চাষ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে জামালপুরে হলুদের চাষ ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হলুদ চাষ বৃদ্ধি করার জন্য সরকার কৃষি বিভাগ কে ঘিরে বিশাল পরিকল্পনা নিয়েছিলো। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ায় কৃষকদের বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে হলুদের চাষ হচ্ছে। সাথি ফসল হিসেবে চাষ করায় কৃষকরা স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে।
জানা যায়, হলুদ চাষ এলাকা হিসেবে জামালপুর সদর উপজেলাধীন শ্রীপুর, বাঁশচড়া, সাহাবাজপুর, রানাগাছা, নরুন্দি, নান্দিনা, পিয়ারপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার খ্যাতি রয়েছে। এ সব এলাকার কৃষকরা সাথি ফসল হিসেবে হলুদ চাষ করে থাকে।
সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন,হলুদ চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের মাধ্যমে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছিলো। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে ব্যপক সহায়তা করেছে। যার জন্যে হলুদের বাম্পার ফলন হচ্ছে।
শ্রীপুরের কৃষক ফজলু(৫০) জানান, এ এলাকা গুলোতে যে পরিমান চাষ হয় যা বিগত কোন সময়ে হয়নি। যতই দিন যাচ্ছে হলুদ চাষ ততই বাড়ছে। হলুদ চাষ এ এলাকায় ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সরকারের সফল কর্মসূচী কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বাস্তবায়ন করায় হলুদ চাষ ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, বাট্রাজোর, নাংলা, আদ্রাসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষকরা সাথি ফসল হিসেবে হলুদ চাষ করে থাকে।
কথা হয় কামরাবাদ এলাকার কৃষক সাত্তার (৫০) বাট্রাজোর এলাকার কৃষক কদ্দুস মিয়া (৪৮) এর সাথে। তারা জনান, কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য মসলা চাষের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। সরকারের এ কর্মসূচী মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সহায়তা করেছে। ফলে হলুদ চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন