জামালপুর মরিচ চাষে কৃষকরা স্বাবলম্বি
জামালপুর গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা। জেলার ৭টি উপজেলায় মরিচ চাষ ও বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের আনন্দ ফূর্তির ভাব জাগ্রত হয়েছে। কিষানীরা মরিচ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। অধিকাংশ কৃষক মন্তব্য করেন এবারের মতো ফলন বিগত কোন মৌসুমে ফলন ুহয়নি। জেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে ব্যপক সহায়তায় কৃষকের গোলায় মরিচ উঠেছে। ফলে মরিচ চাষ করে অধিকাংশ কৃষক স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার বেশ কিছু চর মরিচ চাষের খ্যাতি রয়েছে। বিশেষ করে চর যথার্থপুর কাজিয়ার চর লক্ষিরচর, চরগজারিয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি চরে এবার ব্যপক মরিচ চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এবার মৌসুমে মরিচ চাষ করার জন্য কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে বিশেষ কর্মসূচী হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছে। যার জন্য কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ার কারন সম্পর্কে লক্ষীরচরের মরিচ চাষী সাদেক (৫০) এ প্রতিবেদক কে বলেন, রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার প্রয়োগ করায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। খেত থেকে মরিচ তুলে শুকানোর কাজ চলছে। দাম বেশি পাওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।
কৃষি বিভাগের পরামর্শে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় মরিচ চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে। কৃষি বিভাগের টার্গেটের দ্বিগুুন জমিতে মরিচ চাষ করছে। বিশেষ করে টগারচর, চর মইয়াডাঙ্গা, মেষ্টা, আদ্র্রা, মেরুরচর, ঝগড়ারচর এতো মরিচ হয়েছে তা বিগত সময়ের রেকর্ড।
সরেজমিনে এ সব চরের ১০/১৫ জন মরিচ চাষীকে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, সরকারি নির্দেশে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে থাকায় দ্বিগুন ফলন হয়েছে। যার জন্য মরিচ সৌভাগ্যের প্রসূতিতে পরিনত হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন