‘জিপিএ-৫ টাকায় বিক্রি হয়- প্রমাণ নেই’

‘জিপিএ-৫ টাকায় বিক্রি হয়- এমন প্রমাণ নেই’ বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এ দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জিপিএ-৫ টাকায় বিক্রি হয়। এ ধরণের একটা খবর একটা টিভিতে প্রচার করা হয়েছে। তবে, এটা প্রমাণিত হয়নি যে অমুকে জিপিএ-২ পেয়েছিল, তাকে টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ দেয়া হয়েছে। এ রকম কোনো প্রমাণ নাই। তারপরও আমরা বোর্ড থেকে বুয়েটের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি কমিটি করেছি। যখনই এসব অভিযোগ আসে আমরা গোপন রাখি না। প্রকাশ করি। টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ পাইয়ে দিয়েছে। এমন একটা নাম কি তারা দিতে পারবে? একটা প্রমাণ কি দিতে পারবে? তবে আমি অভিযোগ অস্বীকার করছি না। প্রতিবেদন এলে বলতে পারবো। সরাসরি অভিযোগ করলে খুবই অবিচার হবে।’

অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দের বিরোধিতা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) নয় সদস্য (এমপি) ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। এরা হলেন- ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, সেলিম উদ্দিন, মি. মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, নুরুল ইসলাম মিলন, পীর ফজলুর রহমান। বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।

ফখরুল ইমাম এ বরাদ্দের বিরোধিতা করে বলেন, ‘শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। কিন্তু যে মন্ত্রণালয়ে জিপিএ-৫ কেনা-বেচার ঘটনা ঘটে। এগুলো খারাপ কাজ। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যতক্ষণ এটা ঠিক না করবে, ততক্ষণ টাকা ছাড় করা ঠিক হবে না।’

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা এমপিওভূক্তির জন্য রাস্তায় বসে অনশন করছেন। তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। তবে এসব সমস্যার সমাধান না করে বরাদ্দ বাড়িয়ে কী হবে?’

এদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সিঙ্গাপুর-ভারতের উদাহরণ টেনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘প্রযুক্তির যুগে প্রশ্নফাঁস সব জায়গাতেই হয়’