জিয়াউর রহমান গুলি চালিয়ে অসংখ্য বাঙালিকে হত্যা করে : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে অতুলনীয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার এই ভাষণ বিশ্বের সকল স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। খবর: বাসস।
‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন সমগ্র বাঙালি জাতি এর জন্য গর্বিত। এই ভাষণ ১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘ ২১ বছর হারিয়ে গিয়েছিল এবং যা মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা আমাদের সেই ‘হারানো মানিক’ ফিরে পেয়েছি।’
একাত্তরের ২৫ ও ২৬ মার্চের ঘটনাবলী স্মরণ করে তিনি বলেন, সেনানিবাস থেকে একজন স্কুটার চালক তাদের কাছে একজন বাবুর্চির একটি ক্ষুদ্র বার্তা দিয়ে বলেন যে, পাকিস্তানিরা মাঝরাতের পরে দেড়টায় হামলা শুরু করবে। কিন্তু দখলদার বাহিনী সেদিন রাত ১১টাতেই হামলা শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই বার্তাতে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের চার কর্মকর্তার কাছে টেলিফোনে স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা পাঠান এবং তাদের নির্দেশ দেন যাতে পাকিস্তানিরা হামলা শুরু না করা পর্যন্ত তারা সেই বার্তা প্রচার না করেন।
তিনি দাবি করেন, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে থামাতে চট্টগ্রামে ব্যারিকেড দেয়ার চেষ্টা করায় জিয়াউর রহমান বাঙালিদের ওপর গুলি চালিয়ে অসংখ্য লোককে হত্যা করে। চট্টগ্রামের অনেক নেতা সেই ঘটনা জানে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর এমনই দূরদর্শিতা ছিল যে, তিনি ভাল করেই জানতেন ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেলেও পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না।
তিনি বলেন, সেজন্য বঙ্গবন্ধু আগেভাগেই কিভাবে গেরিলা যুদ্ধ করতে হবে, কিভাবে মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবে এবং কারা বাঙালিদের সমর্থন করবে তা ভেবে রেখেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণের প্রতিটি বর্ণ ও শব্দ দিয়ে জনগণের কাছে স্বাধীনতার কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন এবং এটা ছিল ইয়াহিয়া খানের ৬ মার্চের ভাষণের যথার্থ জবাব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ লিখিত ছিল না। আর তিনি এটি আগে এটি রিহার্সেলও করেননি। বক্তৃতার আগে আমার মাও বঙ্গবন্ধুকে তার মনে যা আসে তাই বলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, অন্যদের কথায় কান দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন