প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের চিত্র মিলবে স্বাধীনতা জাদুঘরে

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায়, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাটির নিচে নির্মিত হয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘর। আর জাদুঘরের ওপরেই রয়েছে স্বাধীনতা স্তম্ভ যা থেকে প্রক্ষেপিত আলো ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়।

স্বাধীনতা জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে সেই স্থানে যেখানে, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

প্রায় ১’শ ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ জাদুঘর সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০১৫ সালের স্বাধীনতা দিবসে।

জাদুঘরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকলে লম্বা হাঁটা পথ নিয়ে যাবে নিচের দিকে। যেখানে রয়েছে, প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের ছবি। রয়েছে, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের চিত্র। এরপর ৬৬’র ৬ দফা ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান চিত্র মনে করিয়ে দেয় বাঙালির পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের কথা।

রয়েছে ৭০ এর নির্বাচন এবং নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয়ের ইতিহাস। এখানেই রয়েছে ৭১’র উত্তাল মার্চের বিভিন্ন ছবি। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক ছবি।

এরপরই ব্ল্যাক জোন, যেখানে ২৫শে মার্চ কালো রাতের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস।

ব্ল্যাক জোন পেরিয়ে, আলো এসেছে এ কক্ষে যেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি রয়েছে। রয়েছে রাজাকার আলবদরদের তৎপরতারও ছবি। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের বড় দুটি ছবি রয়েছে এখানেই। যে টেবিলে আত্মসমর্পণ করেছিলো পাকিস্তান সেই টেবিলের অনুকৃতি বা রেপ্লিকা রয়েছে তার সামনেই।