জোটের প্রার্থীকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগের একাংশের যুদ্ধ ঘোষণা
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)’র মধ্যে আসন সমঝোতা হলেও কুড়িগ্রাম-২ আসনে জোটের প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদকে পরাজিত করতে মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মো. জাফর আলী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের পর তিনি এবং তার নেতা-কর্মীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন।
জোটের ওই প্রার্থীকে পরাজিত করতে নানা রকম হুমকি- ধামকি দিয়ে আসছেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল। এমন অভিযোগ খোদ জোটের প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদের। প্রতিকার চেয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
গত ১৭ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত এক পত্রে কুড়িগ্রাম-২ আসনসহ দেশের আরও ২৫টি আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। যেখানে বলা হয়েছে-‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম-২ আসনে জোটভূক্ত (লাঙল) প্রার্থী থাকার কারণে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো’।
এই চিঠি পাওয়ার পরই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জাফর আলী। প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার হামিদুল হক (ট্রাক প্রতীক)’র হয়ে মাঠে ময়দানে ভোট প্রার্থনা করছেন। এতে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সভাপতির গ্রæপ স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক)’র হয়ে কাজ করছেন আর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বৃহৎ অংশটি জোটের প্রার্থী লাঙলের হয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দু’গ্রæপের এমন বিভক্তিতে বিভ্রান্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তারা নিঃসন্দেহে জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে লড়ছেন।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলাল বলেন, ‘মাননীয় নেত্রী নৌকা প্রত্যাহার করে লাঙ্গল দিয়েছেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে কোন কাজ করব না।’ কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নাই।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। কুড়িগ্রাম জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জাফর আলীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রেদওয়ানুল হক দুলাল কর্তৃক হুমকির বিষয়ে পনির উদ্দিন আহমেদ (লাঙ্গল প্রতীক)’র লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিত একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন