টেলিফোনে কথা বললেন রুশ পক্ষত্যাগী গুপ্তচরের মেয়ে

যুক্তরাজ্যে গত ৪ মার্চ বিষাক্ত নার্ভ অ্যাজেন্ট হামলার শিকার রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালের মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তার চাচাতো এক বোন। হামলার শিকার রুশ পক্ষত্যাগী সাবেক এই গুপ্তচরের মেয়ে বলেছেন, তারা বর্তমানে ব্রিটেনে সুস্থ্য আছেন।

গত ৪ মার্চ রাশিয়ার সলিসবুরির একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় নার্ভ অ্যাজেন্ট হামলার শিকার হয় ইউলিয়া স্ক্রিপাল ও তার বাবা সের্গেই স্ক্রিপাল। তখন থেকে ব্রিটেনে চিকিৎসাধীন আছেন এই দুই রুশ নাগরিক। হামলার পর কোমায় থেকে সেরে ওঠা ইউলিয়া স্ক্রিপাল ব্রিটেনের বাইরে প্রথমবারের মতো চাচাতো বোনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন।

চাচাতো বোন ভিক্টরিয়া স্ক্রিপালের সঙ্গে ইউলিয়ার কথোপকথনের অডিও রেকর্ড বৃহস্পতিবার রাশিয়ার টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়েছে। টেলিফোনে ইউলিয়া তার চাচাতো বোনকে বলেন, সবকিছু ঠিক আছে এবং তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।

ভিক্টরিয়া স্ক্রিপাল টেলিফোনে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, আমি সবকিছুই বলতে যাচ্ছি। শিগগিরই তাদের এই ফোনালাপ রাশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলে তিনি জানান। এমনকি ইংরেজিতেও অনবাদ করে তা প্রকাশিত হবে।

রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত তাদের কথোপকথনে শোনা যায়, ইউলিয়া স্ক্রিপাল তার চাচাতো বোনকে বলেন, সবকিছু ঠিক আছে, সব সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তারা দু’জনই সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।

তার বাবার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউলিয়া স্ক্রিপাল বলেন, সবকিছু ঠিক আছে। তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন, ঘুমাচ্ছেন।

ভিক্টরিয়া স্ক্রিপাল হলেন রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালের প্রয়াত ভাইয়ের মেয়ে। ইউলিয়াকে রাশিয়ায় ফিরে নেয়ার জন্য শিগগিরই তিনি যুক্তরাজ্যে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ভিক্টরিয়া স্ক্রিপাল বলেন, তিনি ব্রিটিশ ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। ভিসার অনুমতি মিললে তিনি লন্ডনে রুশ দূতাবাসেও যাবেন।

ইংল্যান্ডের সলিসবুরি শহরে গত ৪ মার্চ সাবেক স্বপক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালের ওপর বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা হয়। এজন্য ব্রিটেন সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করে।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টিরও বেশি ইউরোপীয় দেশ থেকে একশরও বেশি রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। পাল্টা জবাবে রাশিয়াও সমান সংখ্যক পশ্চিমা কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি