ট্রাফিক শূন্য কুমিল্লা নগরী; যানজটে নাকাল নগরবাসী
কুমিল্লার বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাচন সোমবার সকাল সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার থেকেই নির্বাচনের ডিউটি করছেন কুমিল্লা নগরীর ট্রাফিক বিভাগে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যরা। এদিকে নিয়ন্ত্রন না থাকায় রবিবার থেকেই নগরী জুড়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবারের অবস্থা তো আরও ভয়াবহ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও ডিগ্রী পাস কোর্সের পরীক্ষা থাকায় যানজট বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থী ও নগরবাসীকে।
এদিকে জনবল সংকটের কারণে এমন হয়েছে বলে দাবি জেলা পুলিশ সুপারের। তবে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী।
সূত্রমতে, সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে জেলার দেবিদ্বার ও বুড়িচং উপজেলায় সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতার জন্য কুমিল্লা নগরীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী পুলিশ সদস্যদেরকেও পাঠানো হয়েছে। এদিকে নগরী খালি রেখে নির্বাচনে ট্রাফিক পুলিশ পাঠানো নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নগরবাসী।
নগরী ঘুরে দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড়, টমছম ব্রিজ, রাজগঞ্জ মোড়, চকবাজার কোথাও কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। সেখানে নগরবাসীকে যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা। বিশেষ করে টমছম ব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত যানজট সারাদিনই লেগে ছিলো।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন রয়েছে। তবে আনসার মোতায়েনসহ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভালো হতো। এতে মানষের দুর্ভোগ কম হতো।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক বলেন, নগরীতে ৩০-৩৫জন পুলিশ সদস্য কাজ করতেন। সবাই নির্বাচনের ডিউটিতে গেছেন। শুধু শাসনগাছা এলাকায় দুইজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। নির্বাচনেরও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসব কারণে নগরীতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কম রয়েছে। আমরা সংকট সমাধানের চেষ্টা করছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন