‘ট্রাম্পকে হত্যা করা হোক’ মন্তব্য করে পদত্যাগ মার্কিন সিনেটরের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হত্যা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করতে হল ডেমোক্রেট দলের একজন সিনেটরকে। তিনি মিসৌরির সিনেটর মারিয়া চ্যাপেলে-নাদাল। শার্লটসভিলে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী ও বর্ণবাদবিরোধীদের মধ্যে সহিংসতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ ইস্যুতে যে মন্তব্য করেন তার প্রতিক্রিয়া জানান মারিয়া।
তিনি লিখেছিলেন, আমি আশা করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যা করা হোক। মারিয়ার এমন মন্তব্যের কারণে তার ওপর তীব্র চাপ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে মারিয়া পদত্যাগে বাধ্য হন। পরে অবশ্য এ ধরনের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মারিয়া। রোববার প্রকাশ্যে ট্রাম্প ও তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। মারিয়া বলেন, ‘আমি ভুল করেছি। এর আগে কখনও এমন ভুল করিনি। এ থেকে আমি অনেক শিক্ষা নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমি আপনার ও আপনার পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
শার্লটসভিলের সহিংসতার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই পক্ষকেই দায়ী করেন। এর জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুকে পোস্ট দেন মারিয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই পোস্টে আমি বলেছিলাম আমি বাস্তবিকই ট্রাম্পকে ঘৃণা করি। তিনি ক্ষত ও ভীতি সৃষ্টি করছেন। এটাই ছিল আমার মূল পোস্ট। এমন পোস্ট দেয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। প্রতিক্রিয়ার জবাবে তিনি লিখেছিলেন, আমি আশা করি ট্রাম্পকে হত্যা করা হোক। পরে অবশ্য মারিয়া বলেন, তিনি আক্ষরিক অর্থে প্রেসিডেন্টকে কোনো ক্ষতি করার অর্থে ওই কথা লেখেননি। তিনি শুধু তার কথায় হতাশা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
মারিয়া বলেন, আমি যা লিখেছিলাম, আসলে তা বোঝাতে চাইনি। সেন্ট লুইস থেকে কেউ একজন আমার প্রতিক্রিয়া চাইলে আমি এমন মন্তব্য করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষ এখন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীদের ভয়ে ভীত। তাদের কারণে মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছে। মারিয়া ফেসবুকে ট্রাম্পকে নিয়ে ওই পোস্ট দেয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তা মুছে দেন। কিন্তু ততক্ষণে ওই পোস্টের স্ক্রিন শট ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। চারদিক থেকে চাপ বাড়তে থাকে। ফলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মারিয়া। ওয়াশিংটন পোস্ট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন