‘ট্রাম্পের একতরফা স্বীকৃতি গ্রহণযোগ্য নয়’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমেরিকার রাষ্ট্রপতি সুয়োমোটো যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমার কাছে মনে হয়, এটা ইসলামিক ওয়ার্ল্ডে কারো কাছে গ্রহণযোগ্য না। কারণ, এখানে জাতিসংঘের রেজুলেশন রয়েছে। রেজুলেশন অনুযায়ী কিন্তু পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

জেরুজালেম মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি- সব ধর্মের অনুসারীদের কাছেই পবিত্র নগরী। ইসরায়েল বরাবরই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চান ফিলিস্তিনের নেতারা।

ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনের একটা অধিকার রয়েছে। তাদের একটা নিজস্ব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই দিতে হবে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের (আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ) পরে তাদের যে ভুখণ্ডটা এবং যে সীমানাটা তাদের ছিল, যেটা তাদের রাজধানী হওয়ার কথা, সেটাই থাকা উচিৎ।

তিনি বলেন, ‘এখানে এভাবে একতরফাভাবে করা মানে, অশান্তি সৃষ্টি করা এবং যে শান্তি প্রক্রিয়া, যেটা আমেরিকাই শুরু করেছিল, সেটার জন্য নোবেল প্রাইজও দেওয়া হলো। একবার তারা নিজেরাই শুরু করল, এই ঘোষণায় এখন অশান্তির পথে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ফিলিস্তিনের জনগণ যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায়, সে ব্যাপারে সব মুসলিম দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার হোয়াইট হাউজে এক ভাষণে বলেন, জেরুজালেমকে তিনি ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান।।

১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিল। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে আরব দেশগুলো। তার এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে ওই অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।