ট্রাম্পের নির্দেশে সোমালিয়া ছাড়ছে মার্কিন সেনারা

সোমালিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ নভেম্বর) প্রতিরক্ষা দফর এক বিবৃতিতে জানায়, সোমালিয়ায় থাকা অধিকাংশ সেনাই তুলে নেয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারীতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাইডেনের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার আগেই বিভিন্ন দেশ থেকে সেনা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

আফ্রিকার এই দেশটিতে সাড়ে ৬’শ থেকে ৮’শ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। সেখানকার সেনাদের বিশেষ প্রশিক্ষণে মোতায়েন করা হয় তাদের। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২১-এর গোড়াতেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বিবৃতিতে পেন্টাগন আরো জানায়, ‘বিপদজ্জনক আফ্রিকা থেকে আমাদের কার্যক্রম পুরোপুরি গুটিয়ে নিচ্ছি না। এ বিষয়ে আমরা সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেনাদের অবস্থান পরিবর্তন করছি, কিন্তু এর মানে মার্কিন নীতির পরিবর্তন নয়।’

গেল মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে অর্ধেক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। যদিও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা তুলে নেয়ার ঘোষণায় আপত্তি জানায় ন্যাটো। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা তুলে নেয়া হলেও ন্যাটোর অর্ন্তভুক্ত দেশগুলোর সেনা থাকার কথা জানান জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ।

পেন্টাগন জানিয়েছে, আফগানিস্তানে থাকা সাড়ে ৪ হাজার মার্কিন সেনা থেকে আড়াই হাজার সেনা তুলে নেয়া হবে। আর ইরাকের ৩ হাজারের মধ্যে আড়াই হাজার সেনা প্রত্যাহার হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সোমালিয়ার সাবেক বিশেষ দূত আবুকার আরমান বলেন, ‘ট্রাম্পের অধীনে সোমালিয়ায় আমেরিকার বর্বরতা কোন বিপর্যযের থেকে কম নয়।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোমালিয়া সংঘাত বন্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া তো হয়নি বরং সহিংসতা উস্কে দেয়া হয়েছে।

আফ্রিকার মধ্যে সোমালিয়া সবচেয়ে সংঘাত কবলিত দেশ। দেশটিতে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গি এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আধিপত্য কায়েম করছে। সংঘাতের কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ।