ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ২৭ ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা

সুপ্রীম কোর্টে মামলা চলমান অবস্থায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নিম্ম আদালতের আদেশ কাজে লাগিয়ে প্রায় ২৭ টি ভুমিহীন পরিবারকে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার সন্ধায় পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুমিহীনরা। সংবাদ সম্মেলনে ভুমিহীনদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রমজান আলী মুন্সি।

লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়, পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পাড়িয়া মৌজায় এস এ রেকর্ডীয় মালিক তালেবর রহমান এর নিকট হতে জনৈক সিরাজুল ইসলাম ও সাহিদুল ইসলাম জমি ক্রয় করে ভোগদখল থাকা অবস্থায় ভুমিহীনরা ঐ জমি বিভিন্ন দলিল মূলে ক্রয় করে এবং বিগত ৩০/৪০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছে। এরই মধ্যে ২০২১ সালের ২০ জুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঐ সম্পত্তি ওয়াক্ফ সম্পত্তি দাবী করে সেখানে বসবাসকারী ২৭টি ভুমিহীন পরিবারকে তিন দিনের মধ্যে তাদের সকল অবকাঠামো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।

এতে ভুমিহীনরা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা আনয়ন করেন। তদ প্রেক্ষিতে সে সময় উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগীত করেন জেলা প্রশাসন। এর পর মামলাটি হাই কোর্টে যায়। হাই কোর্টে ভুমিহীনদের বিপক্ষে আদেশ হলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেন ভুমিহীনরা এবং বর্তমানে মামলাটি সেখানে বিচারাধীন আছে। এমতাবস্থায় হাই কোর্টোর আদেশকে কাজে লাগিয়ে জেলা প্রশাসনকে দিয়ে সেখান থেকে ভুমিহীনদের উচ্ছেদের পায়তারা করা হচ্ছে। ভুমিহীনদের অভিযোগ, যেখানে সুপ্রীম কোটে আপিল মামলা চলমান সেখানে হাইকোর্টে আদেশ দিয়ে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। সেখানে বসবাসকারীর সবাইা গরীব, অসহায়, ভূমিহীন, দিনমুজুর, অটোভ্যান চালক, জেলে, ইটভাটার শ্রমিক। অন্যায়ভাবে তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হলে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তারা এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুমিহীন পরিবারের প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।